মেহেরপুর পৌরসভায় বুলবুলি খাতুন নামের এক নারীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উম্মে সালমা শিখা নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। বুলবুলি খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী মোমিনপুর গ্রামের সাজ্জাদুল আলম এর স্ত্রী।
এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানা ও পৌরসভায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। অভিযুক্ত করা হয়েছে শহরের মুখার্জীপাড়ার আব্দুল হান্নানের ছেলে মোখলেছুর রহমান, উম্মে সালমা ওরফে শিখা, সালমার মা মর্জিনা খাতুন ও নতুন মদনাডাঙ্গা এলাকার মৃত দবিরের ছেলে আব্দুল হান্নান ও আব্দুল হান্নানের স্ত্রী মজিরন নেছার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে মোখলেছুর রহমান ও উম্মে সালমা ওরফে শিখা বুলবুলি খাতুনকে পাচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিন মাসের মধ্যে মেহেরপুর পৌরসভায় অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা জানায়। প্রথমে দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ও পরে নিয়োগ পত্র হাতে পাওয়ার পর বাকী টাকা পরিষোধের চুক্তি হয় বুলবুলি খাতুনের সাথে।
চাকুরী পাওয়ার আশায় বুলবুলি খাতুন গরু ছাগল বিক্রিসহ ধারদেনা করে অগ্রীম দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা মোখলেছুর রহমান ও শিখার হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে তিন মাস অতিবাহিত হলেও বুলবুলি খাতুনের চাকুরী মেলেনি। বুলবুলি খাতুন চাকুরী অথবা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে আজকাল করে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ০৯/১০/২০২১ তারিখে আবারও টাকা চাইতে গেলে বুলবুলি খাতুনকে গালাগালি করা সহ টাকা ফেরত দেবে না এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন বলেন, বুলবুলি খাতুন পাওনা টাকা ফেরত পাওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পৌর কার্যালয়ে এক অভিযোগ দায়ের করেন। সে প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে নোটিশ মারফত পৌর কার্যালয় ডাকা হলে বাদী যথারীতি হাজির হলেও বিবাদীগন উপস্থিত হয়নি। যেহেতু বিবাদীগন পৌর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়নি সেহেতু বিষয়টির নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বাদী যাতে সঠিক বিচার পেতে পারে সেজন্য আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।