‘রাত পাহারা দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমরা আরামে ঘরে শুয়ে ঘুমাতে পারছি। এখন পুলিশও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকী দিচ্ছেনা। অথচ, দারোগা দেবাশীষ বাড়িতে বাড়িতে এসে হুমকী ধামকি দিয়ে যাচ্ছিলেন।’ পাহারা বন্ধ হওয়ার পর এ প্রতিক্রিয়া জানান রাজনগর গ্রামের আব্দুল বাকী ।
মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর রাজনগর গ্রামে রাত জেগে পাহারা বন্ধ করেছে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। মঙ্গলবার মেহেরপুর প্রতিদিনসহ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার দিন বিকালে পুলিশ তাদের পাহারা দিতে নিষেধ করেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
দিন মজুর আক্তার আলী, আমিরুল ইসলাম, জামিরুল ইসলাম জানান, আমরা দিনে লেবার খাটি। সারাদিন খাটা খাটনির পর একটু চোখ বুইজবো। সেখানে আমাদের জোর করে বড়লোকদের সম্পদ পাহারা দিতে চাপ দিতো। আমাদের সম্পদও নেই। চোরেরা চুরিও করবেনা। অথচ, বড়লোকদের সম্পাদ পাহারা দেওয়ার জন্য আমাদের সাথে তারা কতই না অত্যাচার করেছেন। আমাদের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ আছে। তারা আমাদের উপর চাপ দিয়ে আমাদের জান মাল আমাদেরকে দিয়েই পাহারা করিয়ে নিচ্ছিল। এছাড়া চুরির ভয় দেখিয়ে তারা আমাদের সাথে এহেন আচরণ করেছে। আমরা গ্রামবাসি সাংবাদিককরা পেপারে দেওয়ায় পাহারা বন্ধ হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতি আমরা খুব খুশি।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে কখনোই জোর করে পাহারা দেওয়ার কথা বলা হয়নি। গ্রাববাসীরা তাদের প্রয়োজনেই পাহারা দিচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ১৫ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর প্রতিদিনে প্রধান শিরোনামে রাত জেগে পাহারায় বাধ্য করেন পুলিশ ও আওয়ামী লীগনেতারা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তৎপর হয় পাহারা বন্ধ করতে। পরে বিকালে পুলিশের একজন কর্মকর্তা ওই গ্রামে গিয়ে পাহারা বন্ধ করার কথা বলে আসে। তবে কোন কর্মকর্তা গিয়েছিলেন তা কেউ নিশ্চিত করেনি।