মেহেরপুর শহরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ি দখল ও প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের বীজ লুটপাট করার অভিযোগে এনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সওদাগর নামের এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি মেহেরপুর শহরের ফৌজদারি পাড়া এলাকায় ঘটেছে।
সওদাগরের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, জনৈক আনোয়ারা খাতুনের কাছ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে সাড়ে তিন কাটা জমি রেজিস্ট্রি ও দেড় কাঠা জমি বাইনা নামা সূত্রে কিনে সেখানে গোডাউন নির্মাণ করে কফিসহ অন্যান্য সব্জী বীজের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন সব্জী বীজ সেখানে মজুদ করা হয়েছে।
গত ২৩ মে রাত আনুমানিক ৯.৪০ মিনিটের দিকে শহরের ক্যাশবপাড়া এলাকার মোসির ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫০), মুখার্জিপাড়া এলাকার মুনতাজ আলীর ছেলে সুজন আলী (৪০), মো: জীবন (৩৫), শুভ (৩২). ফৌজদারিপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে রুবেল (৪০) তার স্ত্রী দুলালী (৩৫), রবির ছেলে ডালিম (৪০), জলিলের ছেলে রকি (৩৫), ক্যাশবপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছবি খাতুন (৪৫)সহ প্রায় ১০/১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রকাশ্যে দিবালোকে সন্ত্রী কায়দায় গোডাউনে হামলা করে। গোডাউনের তালা ভেঙ্গে তারা প্রায় এক কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্যের কফিসহ অন্যান্য সব্জী বীজ লুট করে। এছাড়া প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের অন্যান্য বীজ বিনষ্ট করে। পরে খবর পেয়ে গোডাউনের সামনে যেতেই লুটপাটের এসব চোখে পড়ে বিবাদী সওদাগর আলীর।
সওদাগর বলেছেন, জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই প্রতিপক্ষরা আমার গোডাউন লুট করেছে। তিনি অভিযোগে আরো বলেছেন, এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে। এছাড়া এই বিষয়ে আইনে গেলেও আমাকে খুন জখম করবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।
তিনি গোডাউন ভাংচুর ও লুটপাটের বিচার দাবী করেছেন প্রশাসনের কাছে। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর শহরে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। মেহেরপুর সদর থানা থেকে সামান্য দুরে প্রায় ঘন্টাব্যাপি প্রকাশ্যে দিবালোকে এ ধরনের ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেননি বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, “অভিযোগ হয়েছে কিনা এটা আমার জানা নেই”। তিনি আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ফোনটি কেটে দেন।