মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর কলোনীপাড়ার মাঠে কোন রকম অনুমোতি না নিয়ে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের নামে চলছে বালি উত্তোলনের মহা উৎসব। অতিরিক্তি মাত্রায় গভির করে বালি উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে পার্শ¦বর্তী ফসলি জমি। বর্ষা হলেই ভেঙ্গে পড়বে পার্শ্ববর্তী জমি এমন অভিযোগ অনেকের। তবে পুকুর মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খলতে সাহস পাচ্ছেনা। বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
জানাগেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে কাজল,শোহরাব হোসেন ও জাহাঙ্গীর তিন ফসলি জমিতে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর খনন করে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করেন। সে সময় পার্শবর্তী জমির মালিকরা তাদের কৃষি জমি রক্ষায় পুকুর খনন করতে নিষেধ করে। তাদের নিষেধ অমান্য করে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে পুকুর খনন করেন জাহাঙ্গীর,কাজল ও সোহরাব হোসেন। পরে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পুকুরের পাড় ভেঙ্গে পড়ে। এবছর আবারও ওইসব পুকুরে বালি উত্তোলনের কাজ শুরু করেন পুকুর মালিকরা। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত চলে বালি উত্তোলন ও বহনের কাজ। পরপর চারটি পুকুরে অন্ততঃ ২০ থেকে ৩০ ফুট গভির করে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে একই সাথে চারটি পুকুরে।
স্থানীয়দের পার্শ্ববর্তী কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কেবিটর মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের কাজ চলছে দেদারছে। পরপর দু’টি পুকুরে বালি উত্তোলনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হলেও আরও একটি পুকুর থেকে বালি উত্তোলনের কাজ করা হচ্ছে। পুকুর গুলি অন্ততঃ ২০ থেকে ৩০ ফুট গুভর হয়ে পড়েছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে পার্শবর্তী কৃষি জমি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয় আরিফ নামের এক যুবকের সাথে। তিনি জানান, বালির গাড়ি গণনার কাজে তিনি নিয়োজিত রয়েছেন। তবে বালি কে উত্তোলন করছেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী জমিরএকাধিক মাীলকগণ জানান, বালি বিক্রির লোভে তিন ফসলি জমি কেটে এমন ভঅবে গভির করা হচ্ছে যেন আইন কানুন কিছুই নেই। আমাদের বর্ষা হলেই পাড় ভেঙ্গে আমাদের জমি পুকুরে পড়বে। ফলে নিরুপাই হয়ে ফসলি জমি বাধ্য হয়ে আমাদের পুকুর কাটতে হবে। তারা আরও জানান, পুকুর খনন বা বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমোতি লাগে শূনেছি কিন্তু এদের তো কিছুই নেই,তবে কিভাবে এরা পুকুর খনন করলো আবার কিভাবে বালি উত্তোলন করছে? দ্রত বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পার্শবর্তী জমির মালিকরা।
মেহেরপুর সদর উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা(সহকারি কমিশনার ভুমি) আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, যাদের সমস্যা হচ্ছে তারা একটি লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।