মেহেরপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। দাম বৃদ্ধির জন্য যোগান কমের অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে, বেড়েছে মাছের দামও। বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ ভালো হলেও দাম রয়েছে বেশি।
আবহাওয়া বৈরি হলেও ছুটির দিনে রাজধানীর কাঁচাবাজারে ক্রেতা সমাগম ছিল তুলনামূলক বেশি। বাজারে নিত্য পণ্যের যোগান বেশি হলেও ক্রেতার নজর পেঁয়াজের দিকে। প্রয়োজনীয় এই ভোগ্য পণ্য কিনতে বেগ পেতে হচ্ছে ভোক্তার।
সরকারি নানা উদ্যোগেও লাগাম টানা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দরে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিও ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।
এদিকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাহিদা বেড়েছে অন্য মাছের। বেড়েছে দামও। তবে চাষের মাছের তুলনায় নদ-নদীর মাছের দাম বেশি। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম এখনও বেশি। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। টমেটোর কেজি ১১০ টাকা। ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
মেহেরপুর বড় বাজার সহ গাংনীতে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের তহ বাজার ঘুরে দেখা গেছে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে গেছে। বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা । কোন কোন বিক্রেতা ১১৫ টাকা করেও পেয়াজ বিক্রি করেছেন বলে জানা যায়।
গত বৃহস্পতিবার পেয়াজেরর দাম ছিল প্রতি কেজি ৯০ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল শুক্রবার তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০-১১৫ টাকা কেজি।
খুচরা বিক্রেতারা বলছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে একদিনে পেয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে কাচা ঝাল গত সপ্তাহে প্রতি কেজি দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এ সপ্তাহে তার দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
নিজস্ব প্রতিনিধি