আগামী বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ। জেলার সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় ১২৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মেহেরপুর জেলা তাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
গতকাল সোমবার মুজিবনগর ও সদর উপজেলার নির্বাচনী ব্রিফিং সম্পন্ন হয়েছে। জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মেহেরপুর জেলা মোট ১ হাজার ৮৬৬ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য গতকাল সোমবার থেকে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুইজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডারের (এপিসি) নেতৃত্বে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিগণ (৩ জন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যাগণ অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
তাদের পাশাপাশি ৩ সেকশন (৩০ জন) আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য স্ট্রাইকিং/স্ট্যাটিক ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল টিমে/স্ট্রাইকিং ফোর্সে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যগণ ন্যূনতম সেকশন (প্রতি সেকশন ১০ জন করে) ফরমেশনে দায়িত্বপালন করবেন। এ ছাড়া এবার প্রথমবারের মতো পুলিশের মোবাইল টিম/স্ট্রাইকিং টিমের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন ৪ সেকশন (৪০ জন) সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য। মোতায়েনকৃত সদস্যদের দায়িত্বপালন তদারকের জন্য জেলাসহ দুই উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সকলেই ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সরকারের নির্দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করে থাকে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মেহেরপুর জেলার প্রায় তিন সহস্রাধিক জনবল নিয়োজিত ছিলেন। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।