মেহেরপুর সদর উপজেলার বেলতলা পাড়ায় হামলা চালিয়ে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
হামলার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে রায়হান ও খোকনের ছেলে মুন্নার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বেলতলা দক্ষিণপাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
শহিদুল ইসলাম বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেলতলা দক্ষিণ পাড়ার সোহেল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গম নিতে গিয়ে হামলার শিকার হন শহিদুল ইসলাম।
শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বেলতলা শগুনউড়ি মাঠে আমার জমির পাশাপাশি রায়হানের জমি। আমার জমিতে ধান এবং রায়হানের জমিতে শাক লাগানো আছে।
আমার জমিতে পানি দিলে রায়হান তার শাকের জমিতে যেন পানি না যায় সেজন্য আমাকে বারবার সতর্ক করে আবার কারণে অকারণে গালাগালি করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।
আমি ঝামেলা এড়াতে তার জমিতে যাতে পানি না যায় সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি। গত পরশু সন্ধ্যায় আমি স্কুলের মোড়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে রায়হান এসে আমাকে বলে তার জমিতে যেন কোনভাবেই পানি না যায়। এসময় আমি বলি আমি তো সবসময় মাঠে থাকি না। যদি একটু পানি ঢোকেও তুমি একটু ঠিক করে দিও।
সে আমাকে বলে জমিতে পানি গেলে তোর অসুবিধা আছে। তুই জমিতে গেলে তোকে হাসুয়া দিয়ে কেটে ফেলবো। এসময় তার সাথে আমার বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রায়হান ও তার কয়েক ভাই মিলে আমাকে মারধর করে। সেই সূত্র ধরে হামলা চালিয়ে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে।
গত শুক্রবার আমি দক্ষিণ পাড়ার সোহেলের বাড়িতে গম আনতে গিয়েছিলাম। আমি মটরসাইকেল রেখে সোহেলের বাড়িতে ঢুকবো এমন সময় রায়হান ও মুন্না পিছন থেকে আমার মাথায় আঘাত করে। এসময় আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে রায়হান ২০০৪ সালে একই এলাকার রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় রায়হান দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়। বর্তমানে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে রায়হানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।