মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব আড়ত ও কাঁচা সব্জির দোকানে মরিচের দাম কমলেও বাড়তি দামে বিক্রি করছে সব ধরনের সবজি।
বন্যায় যে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তার দাম যেমন বেড়েছে তেমনই বন্যার সাথে সম্পর্ক নেই এমন সবজি বা ফসলের দামও বেড়েছে।
শুক্রবার সকালে মেহেরপুর কাঁচা বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। একসপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দরে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। প্রায় সব সবজির কেজি ৫০ টাকার উর্ধে।
বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এসব ক্ষেতের ফসল, সবজি, কাঁচা মরিচ বন্যার পানিতে পচে গেছে অনেক আগেই। ফলে বাজারে সরবরাহ কিছু দিন কম ছিলো। কিন্তু এখন বাজারে সবজি শীতকালীন সবজি বাজারে ঢুকলেও কমছে না দাম।
এ বিষয়ে মেহেরপুর কাচা বাজারের ব্যবসায়ী আসকার, আক্তার, মোমিন, বকশো শেখ ও কালাম জানান, আমরা চাষিদের কাছ থেকে সবজি কিনে বাজারে বিক্রি করি, তাই আমরা এখনও চাষিদের কাছ থেকে কম দামের সবজি কিনতে পারিনি সেই সাথে বাজারেও কম সবজি নিয়ে আসছে চাষিরা তাই সবজির দাম একটু বেশি।
এ বিষয়ে তারা আরও বলেন, এক সপ্তাহ আগে কাচা মরিচের দাম বেশি ছিলো সাথে সবজির দাম ও সেই সাথে এই সপ্তাহে কাচা মরিচের দাম কমলেও বাজারে সবজি কম আসেছে তাই কমেনি সবজির দাম।
মেহেরপুর কাচা বাজার গুলো ঘুরে দেখা যায় পিয়াজ- দেশি ৭৫ টাকা, ইন্ডিয়ান- ৬০ টাকা কেজি দরে, কাচা ঝাল- ১২০ টাকা কেজি দরে, রসুন- ১০০ টাকা কেজি দরে, আদা- ১২০ টাকা কেজি দরে, ছিম- ৬০ টাকা কেজি দরে, পটল- ৫০টাকা কেজি দরে, ঢেড়স- ৫০ টাকা কেজি দরে, পাতা কপি- ৩৫ টাকা কেজি দরে, ফুল কপি- ৬০ টাকা কেজি দরে, পেপে- ২৫ টাকা কেজি দরে, লাল শাক – ২৫ টাকা কেজি দরে, শসা- ৪০ টাকা কেজি দরে, বেগুন- ৫০ টাকা কেজি দরে, কাচা কলা- ৪০ টাকা কেজি দওে, লাউ- ৩০/৩৫ টাকা প্রতি পিচ, ওল- ৪০ কেজি দরে, জলপাই- ৩০, পালং শাক -৪০ টাকা কেজি দরে, পুইশাক- ২৫ টাকা, বরবটি- ৫০ টাকা কেজি দরে, ধনেপাতা- ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।