বন্টনকরা মিমাংসিত জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ তুলে চিকিৎসক মেহেদী হাসান লিটনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার দুই চাচা আব্দুল হালিম ও মনিরুল ইসলাম।
আজ সোমবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হালিম বলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মৌজায় আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ২৯ শতকের মধ্যে ১২ শতক জমি ২০০৪ সালের ১৪ মে বণ্টননামা মূলে পেয়ে আমি ভোগ দখল করি এবং আমার অংশের ডোবা শ্রেণীর জমি আমি অনেক অর্থ ব্যয়ে মাটি ভরাট করে পাকা একতলা বসত বাড়ী নির্মাণ করি। আমার ভাই মোঃ আব্দুল লতিব তার ছেলে মেহেরপুর জেলা কারাগারের ডাক্তার মেহেদী হাসান লিটন, ছোট ছেলে আমির হাসান হিমেল (মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক) আমাদের পৈত্রিক বাড়ীতে বসবাস করে এবং আমাদের পিতার মৃত্যুর পর আমার অংশের মূল্য অনুমান ২০ বৎসর পূর্বে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নির্ধারণ করে আমাকে নগদ অর্থ পরিশোধ করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে আমাকে কোন অর্থ প্রদান করে নি, টাকা চাইতে গেলে খুন জখমের হুমকী দেয়।
আমার দীর্ঘদিনের ভোগ দখলকৃত মেইন রাস্তা সংলগ্ন বাড়ির সামনে ০৩ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করিতেছে। এমতাবস্থায়, আমার লতিব ও তার দুই ছেলে আমার অসহায়ত্বের সুযোগে গত ১২ অক্টোবর সকাল অনুমান ১০ টার দিকে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন লোক মারফত হুমকী প্রদান করে এবং পরের দিন জায়গার উপর গাছ কেটে ফেলে আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে জমিটি জবরদখল করে নেয়। পরবর্তীতে আমরা আদালতের স্মরাণাপন্ন হয়। মামলা দায়ের করলে আদালত দখলকৃত জমির উপর ১৪৫ ধারা জারি করে স্থিতি অবস্থানে থাকার জন্য উভয়পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন।
আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২০ অক্টোবর আব্দুল লতিব, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আমির হাসান হিমেল ও মেহেরপুর জেলা কারাগারের ডাক্তার মেহেদী হাসান লিটন সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে দখলকৃত জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে গেলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মেহেরপুর জেলা কারাগারের ডাক্তার মেহেদী হাসান লিটন নিজে সহ তার নির্দেশে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আমির হাসান হিমেল আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে এবং মাথার চুল ধরে মাটিতে টানাহেচড়া করে। এসময় আব্দুল হালিমের স্ত্রী রজিনার দেবর মনিরুল ইসলাম চঞ্চল তাকে বাঁচাতে ছুটে এলে তাকেও মারধর করে গুরুত্বর আহত করে।