১৯৬৬ সালের ১৮, ১৯ ও ২০ মার্চের আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সর্ব সম্মতিক্রমে এই ৬ দফা পাশ করা হয় । এর পর সারা দেশে ৬ দফার ব্যাপক প্রচার শুরু হয় । তারপর শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন। বঙ্গবন্ধুর বিরূদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে মে মাসে আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভায় ৭ জুন দেশব্যাপী হরতাল আহবান করা হয় । সেই হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নেতা মনু মিয়া সহ ১১ জন দলীয় নেতা কর্মী নিহত হয়েছিল । সেই দিন হতে ৭ই জুন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে । লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত বিরোধী দল সমূহের কনভেনশনে বাঙালির মুক্তি সনদ খ্যাত ছয় দফা উত্থাপন করে তার বিষয় অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা ও পুষ্প মাল্য অর্পন করা হয়। সোমবার সকাল নয়টার সময় শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমানসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজাদুর রহমান সাজু, ইউনুস আলী, রোকনুজ্জামান মতি, শেখ সরাফত, যুবলীগ নেতা ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান সেন্টু সহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেল বা যৌথরাষ্ট্র এবং ছয় দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে এই ফেডারেশন বা যৌথরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। ছয় দফা কোন রাতারাতি কর্মসূচি ছিল না। এর প্রস্তুতি ছিল দীর্ঘদিনের। ৫২ এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ৬৬ এর ছয় দফার ভিত তৈরি হয়।