বিদেশি কোম্পানির আগ্রাসন থেকে দেশীয় তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষা ও চাষিদের সুরক্ষাসহ তামাকের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন জেলার তামাক চাষিরা।
মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর জেলার শতাধিক তামাক চাষি দেশীয় তামাক চাষি কল্যাণ সমিতির ব্যানারে অনির্ধারিত সময়ের জন্য অনশনে বসেছে।
অনশনে অংশ নেওয়া রামদাসপুর গ্রাম থেকে আসা তামাক চাষি আলমগীর ও মেহেরপুর গাংনী উপজেলা থেকে আসা হাফিজুর রহমান জানান, আমরা গরিব চাষী আজকে আমরা তামাক চাষ করতে পারছি না। কেননা আমরা তামাক চাষ করার পর সেটা ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করতে পারেনা। দেশে বর্তমানে শুধু দুটি বিদেশি কোম্পানি এবং কয়েকটি দেশীয় কোম্পানি তামাক ক্রয় করে কিন্তু আজ থেকে ১০ বছর আগেও আমরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে ন্যায্য মূল্যে তামাক বিক্রয় করতাম।
এসকল শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানি নিম্নমানের সিগারেট বানাতো এবং আমরা তাদের জন্য তামাক উৎপাদন করে দিতাম। বিদেশি সিগারেট কোম্পানি শুধুমাত্র উচ্চমানের সিগারেট বানাত, তাই আমাদের তামাকপাতা দেশীয় কোম্পানির কাছে বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন আমরা জেনেছি এই বিদেশী কোম্পানী বিশেষত বিএটি নিম্নমানের সিগারেট উৎপাদন করে পুরো বাজার দখল করে নিয়েছে, তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো পেরে উঠছে না। আস্তে আস্তে বাজার হারাতে হারাতে দেশেও মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো আর নেই বলতে গেলে চলে।
মেহেরপুর সদর উপজেলা তেতুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে আসা তামক চাষি আলমগীর হোসেন আরও বলেন, আমাদের দেশের মাটি উর্বর, আমরা কৃষি কাজ করে দু মুঠো ভাত খেতে চাই তাই আমাদের কৃষি কাজে ফিরে যাওযার জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আকুল অনুরোখ করবো আপনি শতভাগ মালিকানাধীন কোম্পানীগুলোকে বাঁচানোর জন্য যে নীতিমালা দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করুন।
এসময় তিনারা আরও জানান, ১৫ টি দাবি আদায়ে লক্ষে যতক্ষণ পর্যন্ত সকরারের পক্ষথেকে কোনো প্রতিনিধি না আসবে ততখোন পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনশনে বসে থাকবো।
অনশন চলাকালে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর দেশীয় তামাক চাষি কল্যান সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন রিন্টু,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।