মেহেরপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান ও ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতৃবৃন্দরা এ স্মারকলিপি তুলে দেন।
এসময় পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সহ-সভাপতি হাবিব ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, সদর সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সভাপতি, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সাইয়্যেদুন নেছা নয়ন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাঈদুর সজন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব নওশেল আহম্মেদ রনি।
স্মারকিলিপিতে বিএনপি জানায়, সবজিসহ প্রত্যেকটি জিনিস এই ভরা মওসুমে বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্যামিতিক হারে এই দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরােধী নীতির বর্ধিত প্রকাশ। হরিলুট, টাকা পাচারসহ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি করে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানী তেল, গ্যাস ও পানির দাম বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী সরকার। এই বৃদ্ধির ‘চেইন রিঅ্যাকশন হিসাবেই নিত্য প্রয়ােজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত ১০ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৮২ শতাংশ এবং পানির দাম বেড়েছে ২৬৪ শতাংশ। এই দাম বৃদ্ধি নজীরবিহীন ও অস্বাভাবিক। জনগণের নির্বাচিত সরকার থাকলে এই ধরণের সীমাহীন দাম বৃদ্ধি পেতাে না। জবাবদিহিতা নেই বলেই দাম বৃদ্ধির পেছনে অনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করছে। ক্ষুধা ও অনাহারে ক্লিষ্ট জনগণের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত করেছে ক্ষমতাসীন গােষ্ঠী, যেন সরকারের কোন দায় নেই। সারাদেশে দুর্ভিক্ষের ছায়া প্রতিদিনই বিস্তৃত হচ্ছে।
এছাড়া গাড়ীভাড়া, বাড়ীভাড়াসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে লাগামহীনভাবে। এমনিতেই কর্মসংস্থান নেই, তার ওপর নিত্য প্রয়ােজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বস সাধারণ মানুষের। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। অভাবের তাড়নায় মা সন্তান বিক্রি করছে, কেউ কেউ আত্মহত্যা করছে। চৈত্রের তীব্র রােদের মধ্যে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবি থেকে তুলনামূলক কম মূল্যে নিত্যপণ্য কেনার জন্য ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়ে বােঝা যায় বর্তমান পরিস্থিতি কত ভয়াবহ। চাহিদার তুলনায় পণ্য কম থাকায় দুই/তিন ঘন্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় বিক্রি এবং তারপরে পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারা খালি হাতেই ফিরে যান। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আহবান জানাচ্ছে।