নির্বাচনী দ্বন্দের জেরে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী ও সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলামের ১৮ কাঠা জমির কাঁধিসহ চারশ কলা গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় দূর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ শরিফুল ইসলাম বুড়িপোতা গ্রাম আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি তিন বারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রামের পাশেই নাপাকাটা মাঠে ১৮ কাঠা জমিতে কলার চাষ করেছি। বর্তমানে ওই জমির ৪শ কলা গাছে কাঁধি এসেছে। গতরাতের কোনো এক সময় দূর্বৃত্তরা কলাগাছগুলো কেটে তছরুপ করেছে। মঙ্গলবার সকালে কৃষকরা মাঠে এসে কলাগাছের জমির সকল গাছই কাটা দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেন। এতে তার তিন লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বুড়িপোতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিন বারের সদস্য আমি। এবারের নির্বাচনে ফুটবল মার্কা প্রতিকে ৯৯৯ ভোট পেয়েছি। আমার প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলম টিউবওয়েল মার্কা প্রতিকে ১৭১২ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গতকাল থেকেই জাহাঙ্গীর আলমের কর্মী মিনারুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সুমন, মোহন, সালাম, একরামুল হক, আব্দুল জাব্বার, সদরুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকি দিচ্ছিলেন জাহাঙ্গীরের কর্মীরা। তারাই আমার কলাগাছ কেটেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে অভিযুক্ত বিজয়ী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার কর্মী সমর্থকদের নাম জড়ানো হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাক না কেন তাদের শাস্তি আমিও দাবি করছি।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান কলাগাছ কাটার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জমির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।