শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির ও পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার ও গাংনী পৌর জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল মজিদসহ জামায়াতের দুই শ নেতা কর্মীর নামে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলার সকল আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এই মামলার জামায়াতের সকল নেতাকর্মীদের বেখসুর খালাসের এই রায় দেন।
২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের খালের ধারে জামায়াত নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীকে ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ ও জামায়াত নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে শিবির কর্মী দেলোয়ার হোসেনসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার হোসেনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথের মধ্যে মারা যান। এসময় গুলিবিদ্ধ হন, শিবিরকর্মী হাসিবুল ইসলাম, রাফিউল ইসলাম, জামায়াত কর্মী আক্তারুজ্জামান, আব্দুস সালাম ও মানিক হোসেন।
এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশের তৎকালিন ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই মান্নানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মুজিবনগর থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে জামায়াত শিবিরের ২০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন। মামলার নং ৬৩২/১৩ ইং।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুরের সভাপতি ও তৎকালিন বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল।
এছাড়া মামলার উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, জেলা ছাএ শিবিরের সাবেক সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল মজিদ।
মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পরে আজ সোমবার দুপুরে নির্ধারিত দিনে জামায়াত শিবিরের ২০০ নেতাকর্মী আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
মেহেরপুর জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে পুলিশ জামায়াত ইসলামীর অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে গত ১৬ বছরে ৮৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছিলো কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। স্বেরাচার সরকারের আমলে এসব মামলায় জামায়াতের শতাধিক নারী নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জামায়াত শিবিরের শত শত নেতাকর্মীকে রিমান্ডের নামে করা হয়েছে অমানবিক নির্যাতন।
এ মামলাসহ ১১টিতে খালাস পেয়েছেন আসামিরা। বাকী মিথ্যা মামলাগুলো থেকেও দ্রুত খালাস পাবেন এ প্রত্যাশা জামায়াতে নেতাদের।