মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতায় প্রেমিক তপনকে (২৭) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তাকে পিটিয়ে আহত করলেও রবিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত তপন মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে।
প্রেমিকা রোমানা (১৬) বুড়িপোতা গ্রামের রশিদুল ইসলামের মেয়ে।
তপনের প্রেমিকা রোমানা জানান, তার সাথে একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে তপনের দির্ঘদিন ধরে প্রেম চলছিল। গত শনিবার রাতে তাদের পালিয়ে বিয়ে করার কথা ছিল।
কথামত তপন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার এক বন্ধুকে নিয়ে বুড়িপোতা যায়। এসময় রোমানা রাস্তায় বের হয়ে আসলে তার এক দুসম্পর্কের মামা স্থানীয় চৌকিদার আনোয়ার হোসেন দেখে ফেলে। তখন আনোয়ার সহ গ্রামের বেশ কয়েকজন গাছের ডাল দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে আহত করে।
মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয় কিছু যুবক তপনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার সকালে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী নেওয়ার পথে দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
তপনের পিতা আনছার আলী জানান, আমার ছেলেকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
এস আই অর্জুন কুমার সরকার জানান, রবিবার বিকালে ৯৯৯ থেকে ফোন করা হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, যাতে অভিযুক্তরা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মেপ্র/এমএফআর