মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের লিজন আহম্মেদ নামের এক কৃতি ফুটবলার গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ফুটবলার লিজন আহম্মেদ ঝাঁউবাড়িয়া গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসি সফিরুল ইসলামের ছেলে। গতকাল শনিবার বিকালের দিকে লিজন আহম্মেদ তার নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
লিজন আহম্মেদ ঝাঁউবাড়িয়া ক্লাব ফুটবল টিমের অধিনায়ক। লিজনের আত্মহত্যা নিয়ে গ্রামের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। তবে, কি কারনে, সে আত্মহত্যা করেছে পরিবারের লোক কিছুই বুঝতে পারছেন না।
লিজন আহম্মেদের চাচাত দাদা (দাদার ভাই) আব্দুল হান্নান বলেন, কি কারণে লিজন আত্মহত্যা করেছে আমরা পারিবারিকভাবে কিছুই বুঝতে পারছিনা। এঘটনায় শুধু পরিবার নয়, গ্রামের মানুষের মাঝে শোকের মাতম শুরু হয়েছে। কারণ, তার মত ফুটবলার এই এলাকায় এখন নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামের একটি ছোট মেয়ের সাথে এক সময় লিজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মাস তিনেক আগে সেই মেয়ের পিতা মেহেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দিলে সেখান থেকেই মিটমাট করে নেওয়া হয়। সেই মেয়েটি ছোট হওয়ায় আমরাও পারিবারিকভাবে সরে আসার জন্য লিজনকে বুঝ দিয়েছিলাম। তারপর থেকে আর কোনো কিছু শোনা যায়নি।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিকভাবে কোনো অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তির বিশেষ সুপারিশে লিজনকে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।