গত কয়েক দিন মেহেরপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপদাহ। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। সকাল থেকেই সুর্য তাপ ছাড়াচ্ছে এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রাও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোদের তীব্রতা। রোদের এতটাই তেজ যে, ঘরের বাইরে পা ফেলা দায়। নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে।
তাপদাহের সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। পথে বের হলেই রোদের তেজ শরীর পুড়িয়ে দিচ্ছে। এতে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, টানা কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ও মেহেরপুরে। বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এমন গরম চলবে অন্তত এক সপ্তাহ। সাতদিন পরে তাপপ্রবাহ কমলেও বৃষ্টির দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েক দিন।
এদিকে এই তাপদাহে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। তারপরেও প্রচন্ড রোদ্রের তাপ উপেক্ষা করে কাজ করছে এসব নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের গিয়ে দেখা গেছে গত তিন দিনে ডায়রিয়া জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয় শতাধিক মানুষ।
গাংনী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ বলেন বর্তমানে যে তাপমাত্রা পড়ছে তাতে হিটস্ট্রোক হতে পারে, সেহেতু প্রতিটি মানুষকে ঠান্ডা ও ছায়া যুক্ত জায়গায় থাকতে হবে। তবে শিশুদের কে পরিস্কার পরিছন্ন এবং ঠান্ডা ঘরে রাখতে হবে।