ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে শীত। পুরোপুরি না হলেও পাওয়া যাচ্ছে শীতের আমেজ। আর শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেহেরপুরের লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা।
শীত মৌসুমের কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষক বানানোর কাজে। ক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে লেপ-তোষককের দোকান গুলো। গতবছরের তুলনায় এবছর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। তুলার মূল্য বৃদ্ধির ভিত্তিতে লেপ-তোষকের দাম বৃদ্ধি পেলেও পারিশ্রমিক বৃদ্ধি হয়নি কারিগরদের।
কারিগররা জানান, গতবছরের তুলনায় লেপ-তোষকের দাম দ্বিগুন বৃদ্ধি পেলেও তাদের মুজুরি একই হয়েছে। দিনে ২ থেকে ৩ টা লেপ বা তোষক বানিয়ে তারা ৫শ থেকে ৬শ টাকা আয় করেন।
বছরের প্রায় আট মাস অনেকটা অলস সময় কাটাতে হয় তাদের। অনেকেই ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়। শীতের আগমনী বার্তায় প্রতিদিনই লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার বেড়েই চলছে বলে জানান তারা।
মেহেরপুর শহরের বেশ কয়েকটি লেপ-তোষক তৈরির দোকান ঘুরে জানা যায়, বর্তমান বাজারে লেপ তৈরিতে খরচ নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১৫ শত টাকা এবং তোষক ১২ শত থেকে ২৫ শত টাকা পর্যন্ত।
মেহেরপুর শহরে লেপ-তোষকের দোকান শীতল বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মন্টু হোসেন বলেন, ক্রেতারা শীতের কথা মনে রেখে আগাম লেপ-তোষক বানাতে দিচ্ছেন। অর্ডার পেয়ে আমার কারিগররাও লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। একটি লেপ তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে দুই ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে গড়ে তিন থেকে পাঁচটি লেপ তৈরি করতে পারে। একই ভাবে দিনে চার-পাঁচটি তোষক তৈরিতেও একই সময় ব্যয় হয়।
তিনি বলেন, তুলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোষক, গদি তৈরিতে খরচ গত বছরের চেয়ে একটু বেড়েছে। শীতের তীব্রতা যতো বাড়বে বেচা-কেনা আরও জমবে বলে আশা করছেন তিনি।