“সিসা ফেজ থ্রি” প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুর জেলার মাঠ পর্যায়ে বীজ উৎপাদনকারী কোম্পানীকে ব্রি ধান ৮৭ জাতের বীজ প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) ।
শনিবার শহরের স্কয়ার সীডের মাঝে আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউট এর সহযোগিতায় এবং ইউ এস এইড এর আর্থিক অনুদানে এ বীজ প্রদান করা হয়। এর আগে মেহেরপুর সহ যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাঠ পর্যায়ে স্থানীয় পাঁচটি বীজ উৎপাদনকারী কোম্পানীকে ব্রি ধান ৮৭ জাতের বীজ প্রদান করা হয়।
এসব বীজ পরবর্তীতে কোম্পানী তাদের নিজস্ব কৃষকদের মধ্যে বিতরন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। এছাড়া যশোরের “কৃষি উন্নয়ন কেন্দ্র”, নড়াইলের “উজিরপুর অর্গানিক মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ”, ঝিনাইদহের “ফ্রেন্ডস সীড”, চুয়াডাঙ্গার “মর্ডান এগ্রো প্রাইভেট লিঃ” কে এই কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের খুলনা অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর খন্দকার শফিকুল ইসলাম বলেন, এই জাতের ধানের চাষ কৃষক পর্যায়ে শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং সঠিক শস্য পর্যায় বজায় রাখতে সহায়ক হিসাবে কাজ করবে। বীজ উৎপাদনে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর উৎপাদন পদ্ধতি অনুসরনে কোম্পানীগুলির সঙ্গে সিসা প্রকল্প কৃষক পর্যায়ে কারিগরী সহায়তা প্রদান করবে। আশা করা যাচ্ছে ব্রি ধান ৮৭ কৃষক পর্যায়ে ব্যপক আলোড়ন তৈরী করবে এবং এর চাষাবাদ ক্রমশ বিস্তার লাভ করবে।
আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা (সিমিট, যশোর) হারুন অর রশিদ জানান, সিসা ফেজ-থ্রি প্রকল্প মূলত অত্র অঞ্চলে উন্নত ও নতূন জাতের ধান কৃষক পর্যায়ে উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারন নিয়ে কাজ করে আসছে। সেই লক্ষ্যে বীজ কোম্পানীর প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে ৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ উৎপাদনের জন্য ব্রি ধান ৮৭ প্রদান করা হয়। এই জাতটি মূলত একটি চিকন জাতের ধান যার জীবন কাল ১২৭ দিন এবং উপযুক্ত পরিবেশে ফলন প্রতি হেক্টরে ৬.৫ টন পর্যন্ত হয়।