মেহেরপুরে যুগান্তর পত্রিকার ২ যুগে পদার্পণ করায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা ও একজন যুদ্ধ শিশুকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদানের মাধ্যমে জমকালো প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করে যুগান্তরের পাঠক সংগঠন স্বজন সমাবেশ।
গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার ও সাংস্কৃতিক কর্মী মাহবুবুল হক মন্টুর সঞ্চালনায় মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক স্বজন সমাবেশের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-আমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌরসভার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান রিটন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খ ম ইমতিয়াজ হারুন জুয়েল, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক তোজাম্মেল আযম, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক মাহবুব চান্দু, কালের কন্ঠের সাংবাদিক ও মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক কালু, সাংস্কৃতিক কর্মী শামিম জাহাঙ্গীর সেন্টু, জেলা প্রেস ক্লাবের কোষাধাক্ষ ও বাসসের সাংবাদিক দিলরুবা খাতুন, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ লিংকন যুদ্ধ শিশু সেলিনা সেফি সহ বিভিন্ন অতিথি এবং সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন সাংবাদিকতা এটা পেশা না এটা একটি নেশা যাদের নেশা তারাই সাংবাদিক হতে পারে। এলাকার উন্নয়নে সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা দিতে হবে। সাংবাদিকদের লেখার মাধ্যমে ভুলত্রুটি সংশোধণ করার সুযোগ থাকে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদেরও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে লেখার আহবান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেন বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। ঠিক তেমনি ভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মেহেরপুরকে আধুনিক জনপদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক মাহবুব চান্দু বলেন, রাগ অনুরাগ, লোভ সকল কিছুর ঊর্ধ্বে সাংবাদিকতা করতে হয় সেই অর্থে মেহেরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক যুগান্তর পত্রিকার তোজাম্মেল আযম ইতিমধ্যে সেটা প্রমাণ করেছে।
মেহেরপুর আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি খ ম ইমতিয়াজ হারুন জুয়েল বলেন, যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক তোজাম্মেল আযম একজন ব্যতিক্রমধর্মী এবং সাহসী সাংবাদিক।
কালের কন্ঠের সাংবাদিক ও মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন বলেন, যুগান্তর সাংবাদিকদের পাঠশালা। কারণ ছোট বড় মাঝারি বিশ্লেষণ ধর্মী সকল নিউজ যুগান্তরে দেখতে পায় যেগুলো অন্য কোন পত্রিকায় দেখা যায় না। ফলে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে মাঝে মাঝে যুগান্তরকে ঈর্ষাও করি।
জেলা প্রেস ক্লাবের কোষাধক্ষ্য ও বাসসের সাংবাদিক দিলরুবা খাতুন বলেন যুগান্তরের সাথে প্রেম আমার দেড় যুগেরও বেশি যুগান্তরের মাধ্যমে আমার সাংবাদিকতা হয়ে ওঠার গল্প।
অনুষ্ঠানে যুদ্ধ শিশু সেলিনা ছেপি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে যুদ্ধ শিশু সেলিনা সেফি বলেন, আমার মা খুব কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছে। আমি স্কুল জীবনে পড়াশোনা করতে গিয়ে বাপের পরিচয় পাইনি স্কুল থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বাইরে এসে লেখাপড়া করেছি যখন স্বামীর বাড়িতে গেছি তখনও বাপের পরিচয় উঠেছে। তখন বলেছে তোমার বাপ মায়ের পরিচয় নেই তোমরা ধর্ষিতা কন্যা স্বামীতে ভাত দেয়নি খুব কষ্টে দুটি সন্তানকে মানুষ করেছি।