ক্ষমতার পালা বদলের পরদিনই বিক্রি করা জমি ঘিরে দখলে নিয়ে নিয়েছে গ্রাম বিএনপির নেতা আতিকুর রহমান পিন্টু। মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি ইমতিয়াজ বিন হারুন (জুয়েল) ওই গ্রামের মাঠে নিজের বাগানে এবং মাঠে যাতায়াতের মানুষের সুবিধার্থে সাড়ে তিন শতক জমি কিনে পথ করে দিয়েছিলেন। জমি দখলের পর এখন জুয়েলকে হুমকি দিচ্ছে জমির কাছে না যাবার জন্য।
মেহেরপুরের নতুন মনাডাঙ্গা গ্রামের আতিকুর রহমান পিন্টু ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা প্রায় সাড়ে তিন শতক জমি তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। বাগানের কোন পাশ দিয়ে যাতে বাগান মালিক জুয়েল প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাগানের অন্যপাশের জমির মালিকদেরও ঘিরে নিয়ে যাতায়াতে প্রতিবন্ধক তৈরীর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পিন্টু অকপটে স্বীকারও করছেন মানুষের চলাচলের জন্য বিক্রি করা জমি দখলের বিষয়টি। মানুষের চলাচলের জন্য জমি ক্রেতা আইনজীবী খ. ম. ইমতিয়াজ বিন হারুনসহ (জুয়েল) মানুষ ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেনা।
পৈত্রিক সুত্রে বাগানের মালিক মেহেরপুর জেলা শহরের ইমতিয়াজ বিন হারুন। নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা ছিলো না। মাঠে যাতায়াতের এবং নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আতিকুর রহমান পিন্টু‘র কাছ থেকে ০.০৫৯৭ একর (প্রায় সাড়ে তিন শতক) জমি ৬লাখ টাকায় কিনে নেন ইমতিয়াজ । জমির দলিলও হয়েছে সাধারণের যাতায়াতের জন্য। ফলে ওই জায়গা দিয়ে এতদিন এলাকার মানুষ মাঠে চাষাবাদের জন্য যাতায়াত করতেন। বিক্রি করা জমি ঘিরে নেয়ার ফলে সাধারণ মানুষ মাঠে যাতায়াত করতে পারছেনা।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে নতুন মডনাডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় বিক্রি করা জমির পাশ দিয়ে খুঁটি পুতে তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয়া হয়েছে। মো. রতন নামের একজন জানান, ইমতিয়াজ বিন হারুনের কাছে মাস পাচেক আগে গ্রামের পিন্টু বিক্রি করে। হঠাৎ করে ঘিরে নেয়াতে বাগারমালিকসহ কেউ ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না।
গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, সুমন হোসেন, সাইফুল ইসলামও স্বীকার করেন জমির মালিক ইমতিয়াজের। তিনিই পিন্টুর সাথে জমি কিনে তাদের যাতায়াতের রাস্তা করে দিয়েছেন। চলাচলের রাস্তা ঘিরে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে গ্রামের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ইমতিয়াজ বিন হারুন জানান, মাঠে চাষাবাদের কৃষক ও নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য পিন্টুর কাছ থেকে ০.০৫৯৭ একর জমি কিনে জনসাধারণের জন্য পথ করে দিয়েছি। হঠাৎ করে ওই রাস্তা ঘিরে নিয়ে মাঠ ও বাগানে যাতায়াত করা যাচ্ছেনা।
গ্রামের বাজারে নিজের হার্ডওয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, ইমতিয়াজ তার কাছ থেকে জমি কিনে রাস্তা তৈরী করেছেন। এই জমি কেনার আগে একদিন জেলা শহরে ইমতিয়াজ আমাকে অপমান করেন। তার প্রতিশোধ নিতে জমি ঘিরে নিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে পিন্টু গ্রাম বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।