মেহেরপুরে লবন নিয়ে এক প্রকার লঙ্কাকান্ড ঘটে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই লবনের দাম বেশি হবে বলে গুজব সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এই গুজবে মেহেরপুরে বেশ কিছু মানুষ আগে থেকে কম দাম পাওয়ার আশায় লবন কিনতে ভিড় জমাচ্ছে দোকান গুলোতে।
এই সুযোগে কিছু কিছু দোকানদার লবনের আগের মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নিলেও ক্রেতারা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
সন্ধার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মেহেরপুর, গাংনীর প্রতিটি দোকানে একই চিত্র। বড় বড় ব্যাগ হাতে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেক ক্রেতাকেই।
তবে লবন গুজবটি শহরের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলে বেশি ছড়িয়েছে। গ্রামে লবন না পেয়ে অনেক লোক শহরে চলে আসে লবন কিনতে।
বারাকপুর গ্রামের স্বপন বলেন, পিয়াজের মত লবনেরও দাম বেশি হবে বলে শুনলাম। গ্রামের দোকানগুলোতে লবন শেষ তাই শহরে আসলাম কিনতে। কোথাই থেকে শুনলেন লবনের দাম বেশি হবে এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, গ্রামের অনেকেই বলাবলি করছে।
মেহেরপুর হোটেল বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, সকাল থেকেই লবন বিক্রি বেড়ে গেছে আমাদের দোকানে। লবনের দাম বেশি হয়ে যাবে বলে হটাৎ করেই লবন কেনার হিড়িক লেগে গেছে।
তবে হটাৎ করেই লবন গুজবে ফায়দা লুটেছে মেহেরপুরের বেশ কিছু ব্যবসায়ীরা। লবনের মূল্য ছাড়াও প্যাকেট প্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি নিয়েছে ক্রেতাদের কাছে থেকে।
এদিকে লবন গুজবে কান না মেহেরপুর জেলা প্রশাসন থেকে আহবান জানানো হলেও খুব একটা কাজ হয়নি। সন্ধার পরে জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম সহ বেশ কয়েকজন প্রশাসনের লোক পৃথক পৃথক ভাবে বাজার তদারকিতে নামলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সেই সাথে জেলা তথ্য অফিস থেকে লবন গুজবে কান না দিতে রাতেই মাইকিং করা হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, এক প্রকার অসাধু লোক দেশে অস্থিতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমান লবন মজুদ আছে। লবন নিয়ে যারা গুজব ছড়াবে এবং যেসব দোকানদাররা লবনের দাম বেশি নিবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-নিজস্ব প্রতিনিধি