মেহেরপুরের গাংনীতে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুলাল খান নামের এক যুবকের ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত ।
সোমবার বিকালের দিকে মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আদালতের বিচারক মো তৌহিদুল ইসলাম-এর সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত দুলাল খান মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রংমহল গ্রামের আব্দুল্লাহ ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল গাংনী উপজেলার রংমহল গ্রামের দুলাল খান একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে যায়। ওই সময়ে সিরাজুল ইসলামের কাছে এসে সিগারেট চাই।
সিরাজুল ইসলাম শিশু কন্যাকে সিগারেট দিতে বললে কৌশলে দুলাল খান দোকানে প্রবেশ করে ওই শিশুর যৌন নিপীড়ন করে। এসময় সে চিৎকার করলে সিরাজুল ইসলাম সেখানে ছুটে গেলে দুলাল পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় সিরাজুল এর স্ত্রী আফরোজা খাতুন বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (৩)/১০ ধারায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১। জি আর কেস নং ৮২/১৮। এন এস নং১৩৮/১৮।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এস আই মাহাতাব উদ্দিন মামলা তদন্ত কাজ শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এতে আসামি দোষী প্রমাণিত হয় বিজ্ঞ আদালত তাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারা দণ্ডাদেশ দেন।
মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আদালতের পিপি আসাদুজ্জামান এবং আসামিপক্ষের মিনা পাল কৌশলী ছিলেন।