শ্রম আর মেধা কাজে লাগিয়ে হাঁস মাছ ও মুরগীর খামার গড়ে সাফলতার মুখ দেখেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দুই প্রভাষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সমন্বিত খামার গড়ে এলাকার অনেক বেকার যুবকদের অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা।
শুরুটা ২০১০ সালে। কলেজ শিক্ষক দুই বন্ধু নজরুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম শিক্ষকতার বাইরে মুরগীর খামার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে একটি সেডে এক হাজার মুরগী নিয়ে গাংনী-হাটবোয়লিয়া সড়কের পার্শে মড়কা এলাকায় শুরু করেন মুরগীর খামার। যার পরিধি ছিল মাত্র ১০ বিঘা। পরবর্তিতে গড়ে তোলে সমন্বিত হাঁস-মুরগি ও মাছ চাষের খামার।দিন দিন বাড়ছে তাদের খামারের পরিধি।
বর্তমানে খামারে রয়েছে আড়াই হাজার মুরগি, দুই হাজার হাঁস ও পুকুর ভরা মাছ । প্রতিদিন তাদের খামার থেকে দেড় হাজার হাঁসের ডিম এবং ট্রাকভর্তি মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। আড়াউ হাজার ডিম উৎপাদতন কারি মুরগি রয়েছে।
সরকারের পৃষ্ঠপোশোকতা পেলে পুর্ণ সমন্বিত কৃষি খামার হিসেবে গড়ে তুলে আরো অনেক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব বলে জানান উদ্যোক্তারা। সমন্বিত খামার দেখে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে খামার গড়ার। খামার শ্রমিক মারুফ হোসেন জানায়, তিনি ৬ মাস ধরে খামারে কাজ করছেন। বর্তমানে তার মাসিক বেতন ৬ হাজার টাকা। মারুফের চাচা মাহাতাব আলী ৮ বছর ধরে খামার পরিচর্যার কাজ করছেন।
এখান থেকেই তার সংসার চলে। গোপাল নগর গ্রামের উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে তাদের এই খামার ১০ থেকে ১৫ জনের অধিক বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। যাদের সংসার চলছে এই খামারে কাজ করে।
প্রাণি সম্পদ বিভাগ মনে করে সঠিক পরামর্শ নিয়ে এমন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হলে উদ্যোক্তা যেমন লাভবান হবে তেমন এলাকার পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় পুষ্টি চাহিদা পুরণে ভুমিকা রাখবে বলে জানান গাংনী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা। সেই সাথে খামরীদের সকল সুযোগ সুবিধা বিনা মুল্যে অসুধ ও ভ্যাকসিন সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তফা জামান ।