মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সালোম চার্চ অব বাংলাদেশের বল্লভপুর শাখার সাবেক ক্রেডিট অফিসার মোঃ রাজু আহম্মেদ এরিয়া ম্যানেজার রোমিও পিন্টু মন্ডলের বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
রাজু আহম্মেদ জানান, তিনি ব্যক্তিগত কারণে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু তার বেতন, পিএফ-এর টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকে রাখা হয়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে মেহেরপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিডিশন মামলা (মামলা নং ২৮/২০২৫) দায়ের করেন।
তার আগে মোঃ রাজু আহমেদের নামে একটি লিগাল নোটিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, নোটিশে রাজুকে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। রাজুর দাবি, এই নোটিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
রাজু আহম্মেদ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সালোম চার্চ অব বাংলাদেশের বল্লভপুর শাখায় ফিল্ড অফিসার পদে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদানের সময় আমার কাছ থেকে একটি ফাঁকা স্বাক্ষর করা চেক এবং আমার বাবার স্বাক্ষর করা ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জমা নেয়া হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে, চাকরি শেষে এসব আমাকে ফেরত দেওয়া হবে।
২০২১ সালে আমাকে কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়া বল্লভপুর শাখা থেকে গাংনী শাখায় বদলি করা হয় এবং সহকারী ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমি ব্যক্তিগত কারণে চাকরি থেকে পদত্যাগ করি। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পরও আমি পিএফের টাকা এবং কাগজপত্র ফেরত পাইনি।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রোমিও পিন্টু মন্ডল আমাকে ফোন করে গাংনী অফিসে ডেকে নেন। সেখানে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং শারীরিক নির্যাতন করে তার ফাঁকা চেকে ২০ লক্ষ টাকা এবং স্ট্যাম্পে ২০,৪৫,৭৩০ টাকার দেনা লিখিয়ে নেয়া হয়।
পরবর্তীতে, সালোম চার্চের ম্যানেজার রোমিও পিন্টু মন্ডল রাজুর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করি। এ নিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। সালোম কেন্দ্রীয় অফিসের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি থানায় আলোচিত হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
তিনি আরো বলেন, এরিয়া ম্যানেজার রোমিও পিন্টু মন্ডল ও সালোমের কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির প্রমাণ কাছে রয়েছে, যা আড়াল করতেই তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি চাকরি ছাড়ার পরও আমার পিএফ, কাগজপত্র এবং জমাকৃত চেক-স্ট্যাম্প ফেরত পাচ্ছি না।
সংবাদ সম্মেলনে রাজু আহম্মেদ সালোম চার্চের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত এবং তার পাওনা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।