ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মেহেরপুর সুইপার কলোনির হরিজন গুষ্ঠিতে দুই দিনব্যাপী পালিত হচ্ছে সূর্য পূজা। সূর্য পূজাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় ছট বা ছোট পূজা। প্রতিবছর কালী পূজার পর শুক্ল পক্ষের ষষ্টি তিথিতে নদীর তীরে সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এই পূজা উদযাপন করা হয়।
শুক্রবার বিকালে মেহেরপুর ভৌরব নদে মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ-বিপদ দূরীকরণসহ বিভিন্ন মানত পুরণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভিতরে সুইপার কলোনির হরিজন গষ্ঠির বাসিন্দারা এই সূর্য পূজা পালন করে থাকে।
মেহেরপুর সুইপার কলোনির দলনেতা মিঠু বাসফোড় মেহেরপুর প্রতিদিন কে জানান, হরিজন জনগোষ্ঠীর উৎসবের মধ্য এক বড় উৎসব হলো ছোট পূজা বা (সূর্য পূজা)। যেটি পাঁচ হাজার বছর আগে মহাভারতে গঙ্গা দেবীর পুত্র ভিঙ্গো পিতামা (বিশ্ব) তিনার সারথি র সন্তান প্রাপ্তির জন্য প্রথম এই পূজা করেন এবং তিনি ছিলেন হরিজন গুষ্ঠির।
তাই ছট পূজা ( সূর্য পূজা) আমরা আদিম যুগ থেকেই করে আসছি এবং এই সূর্য পূজার প্রথম দিন বিকালে আমরা পূজারীরা উপবাস থেকে ফুল, প্রসাদ, বাদ্য-বাজনাসহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী নিয়ে নদের তীরে উপস্থিত হয়। সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে আমরা নদীতে গোসল এবং কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে কুলায় সাজানো প্রসাদ নিয়ে পূজা শুরু করি।
এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সকলেই আমরা বাড়িতে ফিরে যাই। আবার পরের দিন যেটা আগামী কাল করবো অন্ধকার ভোরে নদীর তীরে উপস্থিত হয়ে সূর্য উদয় হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত থেকে একই নিয়মে পূজা শুরু করবো। সূর্যদয় হওয়ার পর সূর্যকে প্রণাম করে নদীতে স্লান এবং শরবত পানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সূর্য পূজা।
সূর্য পূজা করতে আসা অজয়, সুরেন, সনদিপ, মায়া, মহাদেব বলেন, আমরা সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতেই এই পূজা করে থাকি। প্রতিবছর এই ছট পূজা করতে আশি এই ভৌরব নদেতে। এছাড়াও সকলের শান্তি কামনায় এই পূজা করি আমরা ।