দেখতে নয়নাভিরাম আর খেতে সুস্বাদু তৃপ্তি জাতের এই তরমুজ চাষে লাভবান হবার স্বপ্ন দেখছেন সৌখিন চাষি জহুরুল। মেহেরপুর সদর উপজেলার উজুলপুর মাঠে হলুদ রঙের এই তরমুজ দেখতে অনেকেই যেমন ভীড় জমাচ্ছে তার খেতে তেমনি এ তরমুজ চাষেও পরামর্শ নিচ্ছেন এলাকার ফল চাষিরা। কৃষি অফিস বলছে, স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ আর অল্প সময়ে এ তরমুজ চাষে বেশ লাভবান হওয়া সম্ভব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলছে হলুদ বর্ণের ফল। পাঁকলে ভিতরে টুকটুকে লাল। তৃপ্তি জাতের এই তরমুজ শোভা পাচ্ছে চাষি জহিরুলের খেতে। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা এ তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু। অন্যান্য তরমুজের থেকেও বেশ আলাদা। লতার বোটায় বোটায় ঝুলছে কচি ও পাঁকা তরমুজ। জেলায় এই প্রথম এ তরমুজের চাষ হচ্ছে।
চাষি জহিরুল ইসলাম জানান, অনলাইন থেকে উৎসাহিত হয়ে এ তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহী হন জহিরুল। ঠিকানা ও বীজ সংগ্রহ করেন। পরে বিশেষ কায়দায় জমি প্রস্তুত করে বীজ রোপন করেন । কচি ডগা থেকে লতা বেড়ে ওঠা পর্যন্ত কোন বালাই নাশক ব্যবহার করা হয় না। সেক্স ফেরোমিন পদ্ধতিতে বালাই দমন করা হয়। রোপন থেকে ফল পাঁকা পর্যন্ত সময় লাগে ৬০ দিন। বীজ সার মাঁচা আর সুতোর জাল বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা । আর তাতে পাওয়া যায় অন্ততঃ দেড় থেকে দু’লাখ টাকা।
চায়না জাতের এ তরমুজ দেখতে দূর দূরান্ত থেকে যেমন লোকজন ভীড় জমাচ্ছে তেমনি ফল চাষিরাও পরামর্শ নিচ্ছেন এ তরমুজ চাষের। পরামর্শ নিতে আসা চাষি ইন্তাজুল জানান, হলুদ তরমুজ চাষের খবর শুনে তিনি পরামর্শ নিতে এসেছেন। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে এ তরমুজ চাষে বেশ লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। একই কথা জানালেন চাষি কামরুল ইসলাম ও ইয়ারুল।
উপসহকারি কৃষি অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। চাষি জহিরুল এ অঞ্চলে প্রথম এ তরমুজ আবাদ শুরু করেন। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অনেকেই আসছেন এ জাতের তরমুজ চাষের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে। লাভজনক এ তরমুজ চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।