মেহেরপুরের বাজারে মে মাসের শুরুতেই পাওয়া যাচ্ছে দেশি জাতের লিচু। খেতে কিছুটা টক হলেও রঙিন এই লিচু দেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন তবে বিক্রি নেই বললেই চলে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এই লিচু এনেছেন ব্যবসায়ী আদিপ হোসেন। লিচু এনে বস্তায় থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন তিনি। আদিপ হোসেন বলেন, বাজারে ওঠা প্রথম লিচু হওয়ায় এখন প্রতি ৪০টি লিচুর দাম ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি করছি। দেশি জাতের লিচুগুলো একটু টক ও হালকা মিষ্টি। টসটসে মিষ্টি লিচু আসবে কিছু দিন পর। আর কয়েকদিন পর বিভিন্ন উন্নত জাতের লিচু বাজারে পাওয়া যাবে। তখন বিভিন্ন জাতের লিচু উঠলে দামও কিছুটা কমবে। পুরাতন হোটেল এলাকায় লিচু বিক্রি করছেন মনির নামের এক ব্যবসায়ি। তিনি বলেন, বাজারে এখন আটি লিচু সীমিত পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম। তবে আতা বোম্বাই, বোম্বাই, বেদানা, চায়না, চায়না-৩ কোনটাই এখনো আসেনি। এসব লিচু বেশ সাইজের হয়ে থাকে, প্রচুর রসালো ও খেতে মধুমিষ্টি। তবে আটি লিচুও খেতে মিষ্টি হয়। করোনার কারণে চাষিরা লিচুতে তেমন লাভ করতে পারবে না। লকডাউনে লিচু বিক্রি না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
মৌসুমের প্রথম লিচু দেখে ভিড় করা কয়েকজন ক্রেতার মধ্য থেকে মো. সজল বলেন, প্রতি ৪০ লিচু দাম নিচ্ছে ১০০-১২০ টাকা করে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে লিচু মোটা ও মিষ্টি কোনটাই হয়নি।
মেহেরপুর বাজারে আজই প্রথম বিক্রি করতে দেখছি। মৌসুমের প্রথম ফল বাজারে আসায় দামটা একটু বেশি। তবে অন্যান্য জাতের লিচু বাজারে উঠলে দাম কমে যাবে।
শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় লিচুর হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছে লিচু। তবে ক্রেতা শূণ্যে হতাশ বাগানের মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
হাটে লিচু নিয়ে আসা হিয়াত আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবারের আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচুর ফলন খুব একটা ভাল হয়নি বৃষ্টি না হওয়ার কারণে লিচু মোটা হয়নি ও এবারের আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচুর ফলন খুব একটা ভাল হয়নি বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অধিকাংশ লিচু মোটা হয়নি অধিকাংশ লিচু ঝরে গেছে। এবার লিচুতে অনেককেই লোকসান গুনতে হবে।