ঈদ আনন্দ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ‘মেহেরপুর ভাবনা’ নামের একটি সংগঠন। বাচ্চাদের জন্য মাত্র ৫ টাকায় পোশাক আর ১০ টাকার বিনিময়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অভিভাবকরাও পাচ্ছেন ঈদের বাজার।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারে সংগঠনটি এ আয়োজন করে।
বেশ কয়েক বছর যাবত মেহেরপুর ভাবনা নামের একটি সামাজিক সংগঠন সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও তার পরিবারের মধ্যে স্বল্প টাকায় পোশাক ও খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন। এবারও এমনি ভাবে মাত্র ৫ টাকায় পোশাক ও ১০ টাকায় পরিবারের সদস্যরা খাবার পাচ্ছেন। খাবারের মধ্যে রয়েছে, চাল, আটা, ডাল, আলু, পিঁয়াজ, সেমাই, ময়দা, লবণ, চিনি ও দুধ। এতে ছিন্নমূল ওই পরিবারের লোকজনের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার।
সুবিধাভোগীরা জানান, তাদের পরিবারের এবার ঈদের কোন আনন্দ ছিল না। ছেলেদের পোশাক আর ঘরের খাবার কেনা টাকা নেই। এরই মাঝে মেহেরপুরের ভাবনা সংগঠনটি ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে স্বল্প টাকায় পোশাক ও খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
মাত্র ৫ টাকায় পছন্দ মতো পোশাক পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়েছে বাচ্চারা। সেই সঙ্গে খুশি সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অভিভাবকরাও। ১৫০ শিশু ঈদে নতুন পোশাক মেহেরপুর ভাবনার কাছে থেকে ক্রয় করেছে। সেই সাথে এবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ১০ টাকার বিনিময়ে বাজার তার ভিতরে রয়েছে, চাল, আটা, ডাল, আলু, পিঁয়াজ, সেমাই, ময়দা, লবণ, চিনি ও দুধ। ইতোমধ্যে ৪০টি পরিবার এটি সংগ্রহ করেছে।
মেহেরপুর ভাবনার সমন্বয়ক রাতুল আহমেদ জানান, নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে সংগঠনের সকলে মিলে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়। গরীবের মুখে হাসি ফোটানো সকলেরই উচিৎ। সংগঠনের সকলে মিলে যে কাজটি করা হচ্ছে এ ধরনের কাজ সমাজের বিত্তবানরা করলে সকলেই আনন্দে ঈদ কাটাতে পারতো। ছিন্নমূল ও গরীব অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
এর আগে ৫ টাকায় ঈদ শপিংয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এহসান মজিদ মুস্তাফা, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তারেক আহমেদসহ মেহেরপুর ভাবনার সকল সদস্যবৃন্দ।