মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব- সাহারবাটি সড়কে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেনকে কুপিয়ে মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামিদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৮ থেকে ৯টি মামলা রয়েছে।
বুধবার দুপুরে মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম তার কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা, গাংনী উপজেলার সাহেবনগর ও সাহারবাটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর মধ্যপাড়ার রব্বান মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মৃত ফকির মন্ডলের ছেলে মোহাম্মদ নাজির হোসেন (৫৩) ও একই উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে দুলাল আলী (৩৫)।
তিনি বলেন, গাংনী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার এই আসামীদের গ্রেফতার করে। আসামিদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ৮ থেকে ৯টি করে মামলা রয়েছে।
তাদের কাছে থেকে ডাকাতি হওয়া মোটরসাইকেল ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ২ দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, বাঁশের লাঠি, ও দঁড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম। গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে দিতে স্বীকারোক্তি জানিয়েছেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) জামিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেন, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকসহ পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ও তার বন্ধু লাভলু সাহারবাটি থেকে গাড়াডোব বাজারে যাওয়ার পথে হোগলডাঙ্গা মাঠ নামক স্থানে পৌঁছালে একদল ডাকাত তাদের পথ গতিরোধ করে তাদের হাত পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে মোটরসাইকেল নগদ টাকা মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।