ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৭ম পর্যায়) প্রকল্পের জনবল রাজস্বকরণ ও আউটসোর্সিং বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক-কেয়ারটেকার ঐক্য পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন শেষে পাঁচ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবুল হাশেম। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক হযরত মাওলানা রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার ওবায়দুর রহমান, সুপারভাইজার আমানুল্লাহ ও মাস্টার ট্রেইনার মাওলানা আব্দুল হামিদ।
ফিল্ড সুপারভাইজার মুহাম্মদ তাওহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কাজীপুর ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, বামন্দী ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, শ্যামপুর ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আওলাদ হোসেন, আমঝুপি ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক, মেহেরপুর সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির মাওলানা শাহজাহান কবীর সজল, মুজিবনগর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম ও গাংনী উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হক।
শিক্ষকদের দাবি ও আন্দোলনের কারণ মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, এই প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা, কোরআন শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু বর্তমানে প্রকল্পের অনুমোদন জটিলতায় পড়েছে এবং এটিকে আউটসোর্সিংয়ের আওতায় নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে, যা শিক্ষকরা মেনে নেবেন না।
শিক্ষকরা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে এবং ন্যায্য বেতন না পাওয়ায় তারা আর্থিক সংকটে ভুগছেন। তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে, ফলে মাত্র ৫ হাজার টাকা সম্মানীতে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন। তারা দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান।
শিক্ষকরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এর আগে, জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।