মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রোজিনা খাতুন ও মনিরুল ইসলাম নামের দুজনকে বেধড়ক মারপিট করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর রাতে রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে, আমঝুপি উত্তরপাড়ার আব্দুল লতিফ, তার ছেলে মেহেদী হাসান ও আমির হাসান হিমেলকে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী রোজিনা খাতুন এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিদের সাথে জমিজমার বিষয় নিয়ে পূর্ব হইতে বিরোধ চলে আসছে। আসামিরা প্রতিনিয়ত তাদের বিভিন্নভাবে হেও প্রতিপন্নসহ খুন-জখমের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। জমিজমা সংক্রান্তে আসামিদের বিরুদ্ধে মেহেরপুর আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ১৪৫ ধারা জারি করিয়া স্ব-স্বস্থানে থাকার জন্য উভয়পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে। আসামিরা আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২০ অক্টোবর দুপুরের দিকে তাদের ভাড়াকরা গুন্ডা বাহিনী নিয়ে বাদীর দখলীয় জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে জোর পূর্বক বাড়ী নির্মাণ করতে যায়। এসময় বাদী বাধা প্রদান করলে আসামিরা একত্রে বাদীকে উদ্দেশ্যে করিয়া বিভিন্ন রকম খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদী আসামিদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করলে আসামি মেহেদী হাসান মারতে হুকুম দিলে আসামি আমির হাসান দৌড়ে এসে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং আমার মাথার চুল চেপে ধরে মাটিতে টানাহেচড়া করে নিয়ে বেড়ায় ও আমার পরনের কাপড়-চোপড় বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী করে। তখন আমার চিৎকারে আমার দেবর মনিরুল ইসলাম চঞ্চল আমাকে উদ্ধার করতে যায়।
এসময় আসামি আমির হাসান হিমেল ও আব্দুল লতিফ বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থােনে আঘাত করে জখম করে। ওই আঘাতের ফলে আমি মাটিতে পড়ে গেলে আসামী মেহেদী হাসান তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা বরাবর আঘাত করতে গেলে আমি আমার মাথা সরিয়ে নিলে আমার ডান চোখের উপরে লেগে আমার চোখ অন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায় এবং আমাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।