৯ম বাংলাদেশ গেমসে মেহেরপুর জেলা নেই কেন? এ প্রশ্নের জবাব কে দিবেন? জেলা ক্রীড়া সংস্থা কি এ দায় এড়াতে পারবেন। প্রাণের মেহেরপুর, যে মেহেরপুর স্বাধীনতার তীর্থ স্থান। স্বাধীনতার ৫০ বছরে সূবর্ণজয়ন্তী পালন করছে জাতী।
সূবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর শুভক্ষণে ৯ম বাংলাদেশ গেমস চলমান। ৯ম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের সব জেলা অংশ নিলেও মেহেরপুর জেলা অংশ নেয়নি। মেহেরপুর লেখা ব্যানারটিও মাটিতে পড়ে ছিল। মেহেদী নামের মেহেরপুরের এক বাস্কেটবল খেলোয়াড় এ দৃশ্য দেখে সহ্য করতে না পেরে ব্যানারটি নিয়ে নিজেই একটি ছবি তুলেছেন। ছবি তুলে তিনি মেহেরপুরের আঞ্চলিক ভাষা নামের একটি ফেসবুকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যে স্ট্যাটাস তুলে ধরে মেহেরপুর প্রতিদিন গতকাল শনিবার একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা মেহেরপুরের ক্রীড়া কর্তাদের প্রতি বিরুপ ধারণা তৈরি হয়েছে। কেন মেহেরপুর কোন খেলায় অংশ নেয় না। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা কি জবাব দিবেন। এটি কি লজ্জার নয় তাদের জন্য।
মেহেদী তার স্ট্যাটাসে বিষয়টি গুরত্বসহকারে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার এই ১৩ বছর খেলাধুলার ক্যারিয়ারে জাতীয় পর্যায়ে কোথাও খুঁজে পায়নি আমার মেহেরপুর জেলাকে। হাতে গোনা কয়েকজন আছে যারা বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে। তাও আবার সে ভালো কিছু করলে নাম হয় বিকেএসপির। একমাত্র ইমরুল কায়েস ভাই কিছু করলে নাম হয় মেহেরপুর জেলার। কিন্তুু ইমরুল কায়েস ভাইকে দিয়ে আর কতদিন। আমার মেহেরপুর জেলার সকল মানি গুনি এবং খেলাধুলা প্রেমিদের কে বলবো এখনো সময় আছে সামনে তরুণ প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে প্রতিটা খেলার আয়োজন করুন প্রতিটা খেলার জন্য জায়গা তৈরী করুন বাদ যাবেনা একটা খেলাও। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, এ্যথলেটিকস, সাঁতার, বাস্কেটবল, ভলিবল, কাবাডি, হ্যাণ্ডবল সবগুলো খেলা থাকবে। বাংলাদেশের যে কোন খেলা হোক না কেন সবার আগে আগে থাকবে আমার মেহেরপুর জেলার নাম।
মেহেদীর সাথে সুর মিলিয়ে আমরাও আশা করবো যে কোন খেলায় যেন মেহেরপুর জেলা অংশ নেয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা এ বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন। পরবর্তীতে এ লজ্জা থেকে মেহেরপুর জেলাকে রক্ষা করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।