মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর দাখিল মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং হিফজখানা ও এতিমখানায় নিন্মমানের খাবার পরিবেশন ও ভুয়া বিল ভাওচার করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সুপার সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসা কমিটির সহ-সভাপতি শান্ত ও বোডিং সুপার সাদিকুল ইসলাম রবিবার সকালে মাদ্রাসার ছাত্রদের মারধর করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্ররা।পরে মাদ্রাসায় পড়বে না বলে ছাত্র মাদ্রাসা থেকে বের হতে গেলেও বাধা দেওয়া হয় তাদের। উপায় না পেয়ে এর সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মাদ্রসা প্রাঙ্গনেই বিক্ষোভ করতে থাকে ছাত্ররা।
পরে মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শন (অপারেশন) রাসুল সামদানি আজাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
হিফজখানার ছাত্র মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বনি আমিন জানান, দির্ঘদিন ধরে আমাদের উপর অত্যাচর করা হয়। নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। আমাদের দিয়ে জোর করে ভুয়া বিল ভাওচার করে নেওয়া হয়। নিয়ম না থাকলেও আমাদের জোর করে বিভিন্ন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হয়। এসব কিছুর প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের মারধর করা হয়।
মাদ্রসার ছাত্র গাংনী উপজেলার রেজওয়ান আজম্মেদ সাব্বির ও সাদিক আলী জানান, আমরা যা শিখতে এখানে এসেছি তা শেখানো হয় না। দাখিল মাদ্রাসার নিয়ম আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আমাদেরকে সর্ট পাঞ্জাবী পরতে বলা হয়। অথচ আমরা বড় জুব্বা ব্যবহার করি। এছাড়াও কেই যদি আমাদের খাওয়ার জন্য কিছু দান করেন, তার বেশির ভাগ বোর্ডিং সুপার সাদিকুল আত্মসাত করে ফেলেন।
এ বিষয়ে বোর্ডিং সুপার সাদিকুল জানান, আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ সব মিথ্যা।
হিফজখানার সভপতি আব্দুল মান্নান বলেন, মাদ্রাসার কোন ঝামেলা হলে আমাকে তেমন জানানো হয় না। তবে যে অভিযোগ গুলো উঠেছে সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
গোভিপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামান বলেন, এর আগেও বোর্ডিং সুপার সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তবে আজকের ঘটনায় আমরা এক সাথে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করবো।