মেহেরপুরের পাটকেলপোতা ও চাঁদপুরের বড়পুল এলাকায় মাটি ভরাট করে খাল দখল করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ এলাকাবাসি।
ওই এলাকার শতাধিক কুষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই খালটি উদ্ধারেরও দাবী জানিয়েছেন।
অভিযোগে স্বাক্ষর করেন সদর উপজেলার পাটকেলপোতা, সিংহাটি ও পাটাপুকাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই অভিযোগে স্বাক্ষর করেন।
জানা গেছে, পাটাপুকা, হারদা, মরাবিল, খলিশাকুড়ি বিল, দ্বোবিল ও গাংনী উপজেলার কাজলাসহ ছোট খাটো কয়েকটি ১০ বিলের সংযোগ রয়েছে ঝপঝপিয়া খালের সাথে।এই সমস্ত বিলের সাথে পাটকেলপোতা, সিংহাটি, পাটাপুকা, বারাদী, বর্শিবাড়িয়া, কসবা, চান্দামারী, শিমুলতলা, রুইতনপুর, হাপানিয়া, দিঘলকান্দি ভাটপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের এসব বিলের পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ করেন। আর এসব বিলের পানি বের হয়ে যাওয়ার জন্য ঝপঝপিয়া খালটি ব্যবহার হয়ে থাকে।
সিংহাটি গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (বর্তমানে চাঁদপুরে বসবাসরত) অবৈধভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে মাটি ভরাট করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ রফিকুলের সাথে বিভিন্নভাবে বোঝানোর পরেও কোনো ভাবে কর্ণপাত করেননি। তাকে বিভিন্নভাবে নিষেধ করলেও স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখায়।
এদিকে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গোপাল মোল্লা ও মসলেম আলীর শরীকদের কাছ থেকে জমি কিনেছি। আমি টাকা দিয়ে খাল কিনিনি। তবে, এই খানে ভরাট করা হলে এলাকার ৮/১০ টি গ্রাম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন এলাকার মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে আমার এবং আপর প্রতিপক্ষ আতিয়ার গংদের জমি ছাড় দিতে হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ( ১৩/০৯/২০২২) তারিখে প্রশাসনের লোকজন সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।