মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি সভায় আ’লীগের দু-গ্রপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোমবার সন্ধার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বিশ্বাস আহত হয়। পরে সদর থানার ওসি শাহ দারা খান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে বন্যা নামের আরও এক মেয়ে আহত হয়। আহত বন্যাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন কে পিরোজপুর আ’লীগ কতৃক সংবর্ধনা দেওয়া হবে৷ এ নিয়ে আজ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়৷ স্থানীয় কিছু নেতা কর্মিকে বাদ দিয়ে সভার আয়োজন করা হয়৷ এ নিয়ে পক্ষপাতিত্বের সৃষ্টি হয়। পরে দু-পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। দেশিও অস্ত্র নিয়ে দুদিকে দু-পক্ষ অবস্থান করে।
পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেই সাথে চার জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
আটকৃতরা হলেন, পিরোজপুর গ্রামের দবির বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৪), আজহার বিশ্বাসের ছেলে লালন বিশ্বাস (২৪), মৃত নেদু বিশ্বাসের ছেলে বাবলু বিশ্বাস(৪২), মাদার বিশ্বাসের ছেলে সোহেল বিশ্বাস (২৭)
এ বিষয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বিশ্বাস জানান, প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন কে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি সভা করছিলাম।
এমন সময় কিছু হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতা আমার উপর চড়াও হয়। আমাকে জুয়েল, জিয়া, লালন, সাধন সহ বেশ কয়েক জন অতর্কিত ভাবে মারধর শুরু করে।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বাবলু বিশ্বাস জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল। তারই জের ধরে আজ প্রস্তুতি সভায় নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান বলেন, মারামারির ঘটনা জানতে পেরে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যায়। দু-পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিই। সেই সাথে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তবে পরবর্তীতে যাতে কোন ধরনের অঘটন না ঘটে সেজন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
মেপ্র/এমএফআর