রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে কৃষক জুম্মাত আলী (৪৫) এর দুই পা ও এক হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।
জুম্মাত আলী এক মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জুম্মাত আলী সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে।
গতকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০ টার সময় পিরোজপুর গ্রামের ছটাংগার মোড়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তার দুই পা ও ডান হাতটি ভেঙ্গে দেয় প্রতিপক্ষরা।
আহত জুম্মাত আলী বলেন, আমি সকাল ১০ টার দিকে ছটাংগার মাঠে ঘাস কেটে ফিরছিলাম। হঠাৎ একই গ্রামের পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের ডান হাত নামে পরিচিত দয়ালের নেতৃত্বে আব্দুল কুদ্দুস, আনসার আলী, আব্দুল মাবুদ, সাগর হোসেন মুন্নাফ হোসেন ও পচাসহ ১৪/১৫ জনের স্বশস্ত্র দল আকস্মি হামলা চালায়। তাদের হাতে রড, কোঁদাল ও লাঠি শোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা আমার হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে মৃতুভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। জুম্মাত বলে আমি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আব্দুস সালামের পক্ষে ভোট করাকে কেন্দ্র করেই প্রতিপক্ষ আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের লোকজনের আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। ভোটের পরপরই গ্রামে সংঘর্ষ হয়। কিছুদিন পিরোজপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার গ্রামছাড়া ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে লোকজন ফিরে আসে। আজকে তারা হঠাৎ হত্যার উদ্যোশ্যে আমার উপর হামলা চালায়।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মেহেদী জানান, জুম্মাত আলীর ২ টি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া তার হাত ও অপর একটি পায়ে প্রায় ১২ টি সেলাই গেছে। বর্তমানে সে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জুম্মাত আলী।