সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলার তিন দিকেই ভারত বেষ্টিত। এইসব সীমানা দিয়ে ভারতীয় ফেন্সিডিল, মদ, হেরোইনসহ নানা মাদক মেহেরপুর হয়ে পৌছে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মেহেরপুরের বুড়িপোতা বাজিতপুর, শালিকা, মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা, আনন্দবাস ও গাংনীর তেুতুলবাড়িয়া, খাসমহল, সহড়াতলা মাদকের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে দির্ঘদিন ধরে। বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদক বিরোধী বেশ কিছু অভিযানে এখন অনেকটাই নাস্তানাবুদ জেলার মাদক ব্যবসায়ীরা। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে গত দেড় বছরে ২৯৬ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের চৌকশ দল। এছাড়াও প্রায় ৯৮ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
মেহেরপুরের মাদক বিরোধী অভিযানে সব থেকে বেশি সফল ও পুরুষ্কার প্রাপ্ত এসআই (সাব-ইন্সপেক্টর) অজয় কুমার কুন্ডু। মাদক বিরোধী সফল অভিযানের কারনে ইতিমধ্যে পুলিশের মাসিক কল্যান সভায় সর্বচ্চ ৭ বার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারের পুরুষ্কার লাভ করেন। অজয় কুমার কুন্ডুর জালে ধরা পড়েছে মেহেরপুরের মাদক সম্রাট খ্যাত সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের জয়নাল, ইয়াবা সম্রাট মারফত আলী, জুয়া ও অস্ত্র ব্যবসায়ী রাসেল, হেরোইন ব্যবসায়ী গাংনীর কাজিপুর গ্রামের আশরাফ আলীসহ ১৫০ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। মেহেরপুরের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে অজয় কুমার কুন্ডু এক আতঙ্কের নাম।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন অজয় কুমার। পরে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করেন।
অজয় কুমার কুন্ডু বলেন, বর্তমান যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মেহেরপুর যেহেতু সীমান্তবর্তী জেলা সেকারনেই ভারত থেকে সহজেই মাদক প্রবেশ করতে পারে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি মেহেরপুরকে মাদক মুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তোলার।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জুলফিকার আলী বলেন, একটা সময় ছিল মেহেরপুরে হাত বাড়ালেই যেখানে সেখানে মাদক পাওয়া যেত। যুবক, নারী থেকে শুরু করে শিশুরাও জড়িয়ে পড়েছিল মাদক গ্রহন ও ব্যবসার সাথে। সেই জায়গা থেকে এখন মেহেরপুর অনেকটাই নিরাপদ। আমাদের বেশ কিছু চৌকশ অফিসার আছে যারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। মাদক বিরোধী সফল অভিযান পরিচালনা করছে। আমরা আশা করছি পুরোপুরিভাবে মাদক নির্মূল করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে মেহেরপুর।