মুজিবনগরের মহাজনপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে বৃদ্ধাসহ তিন নারীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন রাহিদুল ইসলামের দুই বোন জহুরা ও ফাহিমা এবং তাদের বৃদ্ধা মা সাবিরুন নেছা। রাহিদুল ইসলাম একজন ঘোড়ার গাড়ি চালক। তিনি বিয়ে করেছেন একই গ্রামের ওমর আলীর মেয়েকে। পারিবারিক কলহের জেরে চার দিন আগে তার স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যান এবং সঙ্গে করে ছাগল, আসবাবপত্রসহ গৃহস্থালির অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যান।
রাহিদুল জানান, পারিবারিক এই জটিলতা মীমাংসার উদ্দেশ্যে তার দুই বোন জহুরা ও ফাহিমা তার বাড়িতে আসেন। একপর্যায়ে শ্বশুর ওমর আলীর সঙ্গে কথাবার্তার সময় জহুরা তার ভ্যানগাড়িতে আঘাত পান। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, মহাজনপুর গ্রামের ফতুর ছেলে খোকা ও তার সহযোগীরা এই আক্রমণ চালায়। এ সময় জহুরা, ফাহিমা এবং তাদের বৃদ্ধা মা সাবিরুন কেউই রেহাই পাননি। জহুরার অভিযোগ, রড, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের আঘাত করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে, তবে আহতরা চিকিৎসার জন্য মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছান সন্ধ্যা ৭টায়। দেরির কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, খোকা ও তার লোকজন দিনের আলোতে তাদের বাইরে যেতে বাধা দেন।
রাহিদুল জানান, খোকা তার ফুফাতো ভাই এবং তাদের বসবাসের জমি রাহিদুলের বাবার দানকৃত। তাকে সেই জমি থেকে উচ্ছেদ করতেই এই হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে তার দাবি।
সাবিরুন নেছাকে অক্সিজেন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।