মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুরে কৃষি জমির পাশে গভীর করে পুকুর কেটে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আশেপাশের কৃষি জমির মালিকরা এ নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে পুকুর কাটার অনুমতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন গোলাম কিবরিয়া। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এখনো কোন অনুমোদন দেননি।
গতকাল সরেজমিনে যাদবপুর গ্রামে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চারবিঘা সমপরিমানের পাশাপাশি তিনটি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে দুই পাশের দুটি পুকুর গোলাম কিবরিয়ার । মাটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দুটি পুকুরই প্রায় ২৫ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছে। ফলে আশেপাশের আবাদি জমির পরিবেশের ভারসাম্যহীনতায় পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক আশেপাশের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, অনেক গভীর করে পুকুর খননের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। কিবরিয়াকে কিছু বলতে গেলে হুমকি-ধামকি দেয়।
সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুর কাটা খবর পেয়ে এর আগে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং ইউএনও স্যারের কাছে পুকুর কাটার অনুমতি নিতে বলেছিলাম। দীর্ঘদিন মাটি কাটা বন্ধও ছিলো। গতকাল থেকে আবার মাটি কাটার খবর পেয়ে আবার গিয়ে কাজ মাটি কাটা বন্ধ করতে বলেছি।’
তবে কিবরিয়ার কর্মচারী আহসান জানান, তহশিলদার সাইদুল ইসলাম এসে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কেটে শেষ করে ফেলতে বলেছেন। তিনি বন্ধ করতে বললে কি আমাদের ক্ষমতা আছে মাটি কাটার। তাছাড়া, এই পুকুরে পানি থাকে না বলে গভীর করে খোড়া হচ্ছে যাতে মাছ চাষ করা যায়।
অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘১৯৭৯-৮০ সালে এই পুকুর কাটা। পুকুরটি সংস্কারের জন্য নতুন করে কাটা হচ্ছে। প্রথম পুকুরের মাটি দিয়ে আমার বাড়ি একটি গর্ত ভরাট করেছি, শোয়েবের ইটভাটায় বিক্রি করেছি। কিন্তু এই পুকুরটি কাটতে গিয়ে শুধু বাঁধা পড়ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) এ নিয়ে ঝামেলা কইরেন না। আপনারাও আমার হয়ে যান।’
গোলাম কিবরিয়া দম্ভোক্তি করে বলেন, ‘আপনাদের কে পাঠিয়েছে তার নামটা বলেন। তাকে দেখে নিচ্ছি বলে হুমকিও দেন।’
এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার (এসি ল্যাণ্ড) মো. আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, ‘গোলাম কিবরিয়া নামের কারো পুকুর কাটার অনুমোদন আছে বলে জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তার সাথে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’