মেহেরপুর সদরের রাজনগরে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ও টিনসেড ভাংচুরের অভিযোগ তুলেছে রাজনগর গ্রামের ভিতর পাড়ার মিয়ারুল ইসলাম (৫০) ও ভিকু(৫৫) নামের দুই সহোদর।
মিয়ারুল ইসলাম ও ভিকু মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের ভিতর পাড়ার মৃত মনোরদ্দীনের ছেলে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুমানিক দেড় টার দিকে রাজনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে হাবিব, মনিরুল ও জহিরুল রাতের আঁধারে তাদের বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে দেয় এবং বাড়ীর উঠানে থাকা একটি টিনের চালা ও টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে দেয়। এবিষয়ে মিয়ারুল ইসলাম বলেন, হাবিব আমার চাচাতো ভাই গত ০৭/০৮/২৪ ইং তারিখে হাবিব আমাদের দু’ভাইকে মারধর করে এবং বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এবিষয়ে থানায় আমরা এজাহার দাখিল করেছি। আবার গতরাতে তারা তিন ভাই ও ভাইয়ের ছেলে মিলে বাড়ীর পশ্চিম দিকের সীমানা প্রাচীর ও টিনসেড ভাংচুর করে।
তিনি আরও বলেন, ওরা আমার চাচাতো ভাই। এটা আমাদের বাপ-দাদার ভিটা। এখানে মোট জমির পরিমাণ ২৮ শতক। এর মধ্যে আমার দাদা মৃত সাদের আলীর অংশ ১৪ শতক এবং হাবিবের দাদা মৃত আবদুল কাদেরের ১৪ শতক। এখন তারা জোর পূর্বক আমাদের জমির ওপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা করতে চায়। এজন্য তারা আমাদের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করেছে। এবিষয়ে হাবিব বলেন, ওদের জমির দক্ষিণ অংশে আমাদের যাতায়াতের জন্য ১৬ ফুট রাস্তা ছিল। ২৫ বছর আগে চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ঐ রাস্তা কেনা হয়েছে। এই পথেই আমরা যাতায়াত করতাম। কিন্তু ২০১৪ সালে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা ঐ রাস্তা প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেয়। তারা আমার পরিবারের উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। এবং ২৯/০১/২০ ইং তারিখে পুর্ব শত্রুতার জেরে তারা লোহার রড, লাঠি সোঁটা নিয়ে আমাদের বাড়ীতে অনুপ্রবেশ করে আমার মা ও ছোট ভাইকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এবিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। প্রতিবেশীরা বলেন, ঐদিক দিয়ে একটা রাস্তা ছিল সেটা আমরা দেখেছি। আওয়ামী শাসন আমলে তারা প্রভাব খাঁটিয়ে সেই রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয়। এখন এরা তার বদলা নিচ্ছে।