প্রথম ধাপে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় একযোগে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দুটি উপজেলার ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। মোট ১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন রয়েছেন।
মেহেরপুর সদর
মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৯৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৫৭টি অস্থায়ী বুথসহ ৬০৫ টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সদর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০৪ জন ভোটার। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ ও ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪০ জন নারী ভোটার।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মান্নান ঘোড়া, অ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন কাপ পিরিচ, আনারুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও হাসেম আলী আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ আবুল হাসেম (চশমা), মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা ), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস), রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক।
তবে, বিএনপি প্রার্থী রোমানা আহমেদ ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন।
পড়ুন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হলফনামা
মুজিবনগর
মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৭টি অস্থায়ী বুথ সহ ২৩৬ টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোটার ৮৫ হাজার ২৫৯ জন। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫৩৮ জন পুরুষ এবং ৪২ হাজার ৭২১ জন নারী ভোটার।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে আমাম হোসেন মিলু আনারস, কামরুল হাসান চাদুঁ ঘোড়া, রফিকুল ইসলাম কাপ পিরিস এবং মাহবুবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের লড়ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান(চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন ফুটবল ও তকলিমা খাতুন কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ জানান, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৪ থেকে ৫ জন করে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, ১৩ থেকে ১৮ জন করে আনসার ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।