মেহেরপুরের গাংনীর রামনগর গ্রামে মেয়ের যৌন নির্যাতন চেষ্টার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করায় পিতাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার আহত আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। মামলার আসামিরা হলেন, নজরুল ইসলামের ছেলে শাহাবুল ইসলাম, আরমান আলীর ছেলে ওয়াসিম আলী, রেজাউল হাকের ছেলো রানা, রুবেল হোসেন, নজরুল ইসলামের ছেলে রকিবুল ইসলাম, গোলাম নবীর ছেলে রুবেল হোসেন, সমসের আলীর ছেলে সাদ আলী ও হকাজ্জেলের ছেলে তরিকুল ইসলাম।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ওবাইদুর রহমান জানান,আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/২৩২/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ ধারা মোতাবেক গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে যার নং ১২ তাং ১০.০৮.২০২০ ইং।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল হান্নান জানান,মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলাটি তদন্ত চলছে দ্রত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
মামলার বাদী আব্দুল মান্নান জানান, গত ১লা আগষ্ট রাতে রামনগর গ্রামের ফরমান আলীর ছেলে পল্লী চিকিৎসক সেলিম আমার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশিদের সহায়তায় সেলিমকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয়। পরে তাকে জোর পূর্বক ছাড়িয়ে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় যৌন নির্যাতন চেষ্টার বিচার পেতে গত ৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে রামনগর গ্রামের ফরমান আলীর ছেলে পল্লী চিকিৎসক সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ৭ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬ টায় রামনগর বাজারে গেলে লম্পট সেলিমের সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারনে আবারো হামলা হতে পারে এমন আশংখা প্রকাশ করে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে কথা বক্তব্য জানতে পল্লী চিকিৎসক সেলিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।