মোটরসাইকেল চালানো শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এটি অনেকের জন্য স্বাধীনতা, রোমাঞ্চ আর জীবনের আনন্দ খুঁজে পাওয়ার উপায়। যারা দুই চাকার এই গতির যন্ত্রে মজে আছেন, তাদের জন্য আজ বিশেষ একটি উপলক্ষ। বাইকের গতি আর রাস্তায় ছুটে চলার স্বাধীনতা-এসবই মোটরসাইকেলের যাত্রাকে রোমাঞ্চকর করে তোলে। যেন প্রতিটি বাঁক নতুন অভিজ্ঞতার জানালা খোলে।
চারপাশের গাড়ি যখন জ্যামে আটকে থাকে, বাইক তখন রাস্তার ফাঁকফোকর দিয়ে স্লিপ করে বেরিয়ে যায়, যেন বলতে চায়-গাড়ির চেয়ে দ্রুততর এবং স্মার্ট! শহরের ট্রাফিক পার হতে বা গ্রামের পথ ধরে দূরে কোথাও চলে যেতে মোটরসাইকেলের জুড়ি নেই। আজকের দিনটি সেই সমস্ত রাইডারদের জন্য, যারা দুই চাকার গাড়ির প্রতি ভালোবাসা লালন করে।
অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার মোটরসাইকেল চালনা দিবস। ২০১৫ সাল থেকে দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হচ্ছে। ডানলপ মোটরসাইকেল কোম্পানির পণ্য ব্যবস্থাপক চ্যাড গিয়ার এই দিবসের উদ্যোক্তা। ১৮৮৭ সালের অক্টোবরে জন বয়েড ডানলপ উদ্ভাবন করেন বায়ু ভরা টায়ার, যা মোটরসাইকেল জগতে নিয়ে আসে যুগান্তকারী পরিবর্তন।
দলবেঁধে বাইক চালানো, মাঝপথে কোনো চায়ের দোকানে থামা আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। কেউ আবার একা বাইক চালাতে ভালোবাসে, প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চায়। আজকের এই দিনে বন্ধুরা একসঙ্গে কোনো নতুন গন্তব্যে রওনা দিতে কিংবা একা রাইড করে উপভোগ করতে পারেন প্রকৃতির রূপ।
অনেক বাইক প্রেমী ঘটাকরেও দিনটি উদযাপনে মেতে পড়ে। কুরবানির ঈদে যেমন গরুকে সাজায় তেমনি শখের বাইকটিকেও এই দিনে রাঙ্গিয়ে তোলে। কেউবা কেক কেটেও উৎযাপন করে দিনটি।
তবে অতি রোমাঞ্চে নিরাপত্তাকে কখনও অবহেলা করা যাবে না। হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো যতই আরামদায়ক মনে হোক, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে এটি অপরিহার্য। আজকের দিনে মজার পাশাপাশি রাইডারদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবতে হবে। রাস্তার নিয়ম মেনে চলা এবং গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি, কারণ মজা তখনই অর্থবহ যখন তা নিরাপদ হয়।
সবার জন্যই এক বার্তা, জীবনকে উপভোগ করুন, প্রতিটি মুহূর্তকে উদযাপন করুন। হেলমেট পরে বাইকে চড়ুন, নিয়ম মেনে চলুন, আর এই দিনটিকে রোমাঞ্চকর ও স্মরণীয় করে তুলুন।
সূত্র: ইত্তেফাক