ভারতের কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রোববার নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এ নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।
এর আগে তিনি মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে প্রচারে নামবেন কিনা; তা এখনো পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টিও অস্পষ্ট রয়ে গেছে।—খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারপত্রিকার
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বাইয়ের বাংলোতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। এরপরেই তার আনগত্য পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে।
এনডিটিভি জানায়, বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এক রকম এড়িয়ে গেছেন বিজেপির জাতীয় মহাসচিব কৈলাশ বিজয়াবারই। তিনি বলেন, সেখানে কেবল জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থাকবেন। মোদি অনেক বড় সেলিব্রেটি। যারা আসবেন, তাদের আমরা স্বাগত জানাব। যদি মিঠুন চক্রবর্তী আসেন, তবে তাকেও আমরা স্বাগত জানাব।
বিজেপির সূত্র জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে যেসব জনপ্রিয় ব্যক্তিদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে একজন হবেন মিঠুন।
দলটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ও তার বাইরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন, যারা মমতার অধীনে বাংলার পিছিয়ে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। মিঠুন চক্রবর্তীও তাদের একজন।
রাজ্যটিতে ৭০ বছর বয়সী এই অভিনেতার বহু ভক্ত ও অনুরাগী রয়েছেন।
২০০৬ সালে এমএলএ ফাটাকেষ্ট সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। বিশেষ করে ‘মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’ সংলাপটি মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে দেখা গেছে।
সাম্প্রতিক তার রাজনৈতিক তৎপরতা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। মিঠুন কী করবেন, সে ব্যাপারে তার পক্ষ থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। মিঠুন ‘হ্যাঁ’ যেমন বলেননি। ‘না’-ও বলেননি।