মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহিদ্দুজ্জমান খোকন বলেছেন, দুর্নীতি করতে করতে যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেনের দাঁতে আঠা বসে গেছে, তাই সে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। উপজেলার সর্ব বৃহত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মত একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানে মোশারফ হোসেন ১০ টি বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চুষে খেয়েছেন।
তার আমলে বিদ্যালয়ে একটি শাখা খোলা হয়েছে, এবং একটি কলেজ খোলা হয়েছে। এখানে প্রায় ৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। বিদ্যালয় শাখা এবং কলেজে অনেক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করেছেন মোশারফ হোসেন। বামুন্দি হাইস্কুলে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে দুর্নীতির দায়ে এলাকাবাসি তাকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।
এছাড়াও তিনি ক্ষমতার দাপটে ৪/৫ টি বিদ্যালয়ে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। কেউ তার বিরোধীতা করেনি। উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলিতে একচেটিয়া ভাবে দুর্নীতি করতে করতে তার দাঁতে এতাটাই আঠা বসে গিয়েছে যে দুর্নীতির প্রত্যয় নিয়ে ধড়ি ঁেবধে মাঠে নেমেছেন মোশারফ হোসেন। যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, গাংনীতে তার তিনটি বাড়ি। যশোরে বাড়ি,বেনাপোলে বাড়ি। কোথায় পেল এতো টাকা। বামুন্দি বাজারে তার মার্কেট আছে। পাজেরো গাড়িতে ঘোরে কোথায় এতো টাকার উৎস।
জনগন সবই জানে,সবই বোঝেন। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন সে সময় তিনি দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে তার পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে। মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন তার নিজ বাসভবরে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
গতকাল সোমবার সকালে সাংবাদিকদের সাথে এমপি’র মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,সরকারের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন , যারা দুর্নীতি করবে তারা ছাড় পাবেনা। আমিও যদি দুর্নীতি করি তবে আমারও শাস্তি হবে। আমার নেত্রী আমাকেও ছাড় দেবেনা। আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। নানান সময় নানান কথা হয়েছে তাতে আমাকে কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে টেনে নামাতে পারেনি। ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৩৫ টি বছর রাজনীতি করছি।
আজ যারা বড়বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি ছাড়া ভাল চাইনি। জননেত্রী বুঝে শুনেই আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন জনগন আমাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করিয়ে সংসদে বসিয়েছেন। আমি জীবন দিয়ে হলেও তার মুল্য দেব। কারন আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমি ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম,যুবলীগ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলাম,বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি আছি।
আমি কাউন্সিলের দ্বারা নির্বাচিত সভাপতি। কেউ দয়া করে, মায়া করে, আমাকে সভাপতি বানাইনি। এই আওয়ামীগের নেতাকর্মীরাই ভাল বেসে আমাকে দলীয় পদ দিয়েছেন। আগামী উপজেলা কাউন্সিলে তিনি সভাপতি প্রার্থী হিসেবে দায়িত্ব পেতে চান। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারিরা আছে আগামীতেও থাকবে। আজ যারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চান, তারা কোনদিন আওয়ামীলীগের মঙ্গল চাইনি। মোশারফ ও মকবুল হোসেন ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নৌকার বিরুদ্ধে হরিণ মার্কায় ভোট করেছেন।
১৯৯৬ সালে নৌকার বিরুদ্ধে টেলিভিশন মার্কায় ভোট করেছেন। ২০১৪ সালে নৌকার বিরুদ্ধে ফুটবল মার্কায় ভোট করেছেন। যে মানুষের আওয়ামীলীগের প্রতি নুন্যতম ভালবাসা নাই, সে আওয়ামীলীগের মঙ্গল কি ভাবে চাইবে? দীর্ঘ প্রতিক্ষায় ৩২ বছর পর নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনা হয়েছে গাংনীতে। এই হিংসায় তারা জ্বলছ্ েযেন আওয়ামীলীগ গাংনী থেকে ধ্বংস হয়ে যায়।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু প্রমুখ। এ সময় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-আকতারুজ্জামান, গংনী