গত বছর নতুন সংস্করণের ওয়াই-ফাই সংযোগের ধারণা প্রকাশ করে ওয়াই-ফাই অ্যালায়েনস। নাম দিয়েছে ‘ওয়াই-ফাই ৬’। এত দিন তা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ১০ জানুয়ারি সমাপ্ত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোতে ওয়াই-ফাই ৬ নির্ভর বেশ কিছু রাউটার ও অনুষঙ্গের দেখা মিলেছে। এর পর থেকে সবাই বলছেন, অবশেষে এল ওয়াই-ফাই ৬। বাংলাদেশে কবে আসবে বা এলে আদৌ আমরা সুফল পাব কি না, সেসব আলোচনা আপাতত থাক। আগে বরং জেনে নেওয়া যাক, নতুন প্রজন্মের ওয়াই-ফাই কী এবং কেন দরকার।
ওয়াই-ফাই ৬-এর কাজ কী?
এত দিন ওয়াই-ফাই যা করে এসেছে, ওয়াই-ফাই ৬ সে কাজটাই করবে। মানে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে সাহায্য করবে। তবে নতুন কিছু প্রযুক্তি থাকায় গতি বাড়বে, সংযোগ আরো কার্যকর হবে।
গতি কত?
ওয়াই-ফাই ৫-এর সর্বোচ্চ গতি ছিল সেকেন্ডে ৩.৫ গিগাবিট। আর ওয়াই-ফাই ৬ দেবে সর্বোচ্চ ৯.৬ গিগাবিট গতি। এভাবে বললে অবশ্য উত্তরটা সঠিক হয় না। কারণ, সংখ্যা দুটি তাত্ত্বিক। আর এতটা গতি ঠিক কাজেও লাগে না।
প্রশ্নটা কি শুধু গতির?
ওয়াই-ফাই ৫ যখন এসেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি প্রতিগড়ে পাঁচটি ওয়াই-ফাই যন্ত্র ছিল। এখন সংখ্যাটি বেড়ে ৯-এ দাঁড়িয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বলছে, বছর কয়েক পর আমাদের বাড়িতে গড়পড়তা ৫০টি ওয়াই-ফাইযুক্ত যন্ত্র থাকবে। একই নেটওয়ার্কে যুক্ত যন্ত্রের সংখ্যা যত বেশি হবে, নেটওয়ার্কের মান তত কমতে থাকবে। ওয়াই-ফাই ৬ সে নেটওয়ার্কের মান বাড়াবে। রাউটারকে একই সঙ্গে আগের চেয়ে বেশি যন্ত্রের সঙ্গে ডেটা আদান-প্রদান করতে সাহায্য করবে।
নতুন করে সংস্করণ নম্বর
হুট করে ‘ওয়াই-ফাই ৬’ শুনতে বেশ খটকা লাগে। সেই প্রথম থেকে এত দিন শুধু ‘ওয়াই-ফাই’ শুনে এসেছি। যাঁরা কারিগরি দিকটা বোঝেন, তাঁরা হয়তো ৮০২.১১জি, ৮০২.১১এ, ৮০২.১১এ বা এই জাতীয় শব্দগুলো জেনে থাকবেন। মূলত সেগুলোই ছিল ওয়াই-ফাইয়ের সংস্করণ নম্বর। সম্প্রতি ওয়াই-ফাই অ্যালায়েনস ব্যাপারটি সহজ করতে ১, ২, ৩…এমন সংস্করণ নম্বর দিয়েছে। সূত্র: দ্য ভার্জ।