টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই চোট নিয়ে দল থেকে ছিটকে পড়েন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এর পর থেকে জাতীয় দলের কয়েকটি সিরিজ গেলেও জাতীয় দলের জার্সি আর গায়ে দেওয়া হয়নি এ পেস অলরাউন্ডারের। এদিকে পেসার আবু জায়েদ রাহিকেও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়নি।
সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অনুশীলনের এক ফাঁকে বাংলাদেশের কোচদের নিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বসেন সাইফউদ্দিন। সাড়ে পাঁচ মাস কোনো কোচ তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি বলে মন্তব্য করেন সাইফউদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলে ক্ষমা চান এই অলরাউন্ডার। কিন্তু এর পরও ভাগ্য খুলেনি তার।
২০২২ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়লেন এ অলরাউন্ডার। প্রশ্ন উঠছে, চুক্তিতে না থাকার কারণ কি তার ‘অপরিপক্ব’ মন্তব্য? বেফাঁস মন্তব্যে কপাল পুড়ল সাইফউদ্দিনের? এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ‘বেফাঁস’ মন্তব্য নয়, ইনজুরির কারণেই এবারের চুক্তিতে সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি বলে জানান তিনি।
নান্নু বলেন , ‘সাইফউদ্দিন তো ইনজুরিতে। তাকে বোর্ড যথেষ্ট সময় দিচ্ছে, লন্ডন থেকে ডাক্তারও দেখিয়ে এনেছে। সুস্থ হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তাকে যখন জাতীয় দলে পাওয়া যাবে, তখন আমরা আবার চুক্তিবদ্ধ করব।’ এদিকে পেসার আবু জায়েদ রাহিকেও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়নি। গত বছর টেস্টের চুক্তিতে ছিলেন তিনি। এই সময়ে বাংলাদেশ ৯ টেস্ট খেললেও রাহিকে দেখা গেছে মাত্র চার ম্যাচে। সবশেষ নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাদা পোশাকে দেখা গেছে ২৮ বছর বয়সি এ ডানহাতি বোলারকে।
এবার রাহিকে চুক্তিতে না রাখার কারণ জানান প্রধান নির্বাচক, ‘আবু জায়েদ মাঝে অনেকদিন ধরে নিয়মিত হতে পারছে না। এজন্য তাকে এক বছরের জন্য আমরা বাইরে রেখেছি। নিয়মিত হয়ে গেলে আবার তাকে চুক্তিবদ্ধ করতে বলব। ’ এবার চুক্তিতে নেই সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার ও শামীম হোসেন পাটওয়ারীও। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এই প্রথম সুযোগ পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বি। দুজই আছেন টেস্টে।
নতুনদের বিষয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে রাব্বিকেও নেওয়া হয়েছে লাল বলের ক্রিকেটে উৎসাহ বাড়ানোর জন্য। টেস্ট ক্রিকেটকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’