কোপা আমেরিকা ফাইনালে লিওনেল মেসি নিজের মতো করে আলো ছড়াতে পারেননি। তবে তার হাত ধরে ফাইনালে পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা।
দলকে কাঙ্ক্ষিত শিরোপা এনে দিতে গোটা আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন মেসি। ভেঙেছেন বেশ কয়েকটি রেকর্ড। গোটা ম্যাচে অনেকগুলো ফ্রি-কিকের মধ্যে সফল হয়েছেন মেসি একাই। ফ্রি-কিক থেকে দুটো গোল করেছেন।
ফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। এর মধ্যে পাঁচটিতেই ম্যাচ সেরা। গোলও করেছেন সর্বোচ্চ চারটি। অ্যাসিস্ট করেছেন পাঁচটি। তার কাছাকাছি থাকা লওতারো মার্টিনেজ ফাইনালে কোনো গোল পাননি।
তাই সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল মেসির হাতেই উঠল।
সব মিলিয়ে এবারের কোপা আমেরিকা যেন বসেছিল মেসির জন্যই। তাই দলীয় শিরোপায় চুমু খাওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্ট সেরার ট্রফিটাও বগলদাবা করলেন মেসি।
রোববার সকালে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা।
তবে প্রথমার্ধে যতটা উজ্জীবিত ও ক্ষিপ্র দেখা গেছে মেসিকে, দ্বিতীয়ার্ধে সে তুলনায় খানিক নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন তিনি। এমনকি ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। এর কারণ মূলত পায়ের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। কোপার শেষ দুটি ম্যাচ ইনজুরি নিয়েই খেলেছেন মেসি।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচের ৪৭ মিনিটের সময় কড়া ট্যাকল করা হয়েছিল মেসির গোড়ালিতে। রক্ত ঝরতে থাকে সেই গোড়ালি থেকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রক্তঝরা পা নিয়েই ম্যাচের বাকি অংশ ও পরে টাইব্রেকার খেলেছেন মেসি। সেই ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে যায় আর্জেন্টিনা।
শিরোপা জয়ের পর সংবাদমাধ্যমে মেসির প্রশংসা করেছেন আর্জেন্টিনা দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি। তিনি বলেছেন, ‘কলম্বিয়া ও ব্রাজিলের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা নিয়েই পুরো ম্যাচ খেলেছে মেসি।’
কোপায় নিজেদের পুরো যাত্রা নিয়েও কথা বলেছেন স্কালোনি। তার মূল্যায়ন, ‘এটা খুবই কঠিন কোপা আমেরিকা ছিল। শেষ পর্যন্ত স্বস্তির বিষয় হলো এটি আমরা জিতেছি।’