প্রতিদিনের খাবারে আয়রন, ভিটামিন বি১২, ফলিক অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদানের অভাবে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কিছু রোগের কারণেও রক্তস্বল্পতার সমস্যা হতে পারে।
আমাদের দেশে শিশু ও নারীদের মধ্যে আয়রনজনিত রক্তস্বল্পতা বেশি দেখা যায়। যাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদের খাবারের তালিকা দিকে নজর দিতে হবে। ভালো পুষ্টিকর খাবার রক্তস্বল্পতাকে দ্রুত সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।
এমন কিছু খাবার খেতে চেষ্টা করুন যেগুলো খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। চলুন জেনে নেই শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করতে কোন খাবারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খেজুর
স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম উপকারি খাবার খেজুর। এতে রয়েছে ভরপুর আয়রন। তাই রক্তস্বল্পতার সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখতে চেষ্টা করুন।
শাক সবজি
পাতাযুক্ত সবুজ শাক ননহেম আয়রনের সেরা উত্সগুলোর মধ্যে একটি। কিছু পাতাযুক্ত সবুজ শাক যেমন সুইস চার্ড এবং কলার্ড সবুজে ফোলেট থাকে। যেসব খাবারে ফোলেট কম, সেগুলো খেলে ফোলেটের অভাবে দেহে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। সাইট্রাস ফল, মটরশুঁটি ও পুরো শস্য ফোলেটের ভালো উত্স। তাই এসব খাবার শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়া, বিট হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। টমেটো, কুমড়া, ব্রকোলি বা পালং শাকেও প্রচুর আয়রন থেকে। নিয়ম করে যদি এই সবজিগুলো খেতে পারেন, তা হলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমতে পারে।
কলিজা
অনেকে লাল মাংস খেতে পারেন না বা খান না। তাদের জন্য অন্যতম উপকারী খাবার হতে পারে কলিজা। কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি আছে। পাশাপাশি কলিজায় আছে ফোলেট। তাই রক্তস্বল্পতা দূর করতে নিয়মিত কলিজা খেতে পারেন। রক্তস্বল্পতা রোগের প্রধান কারণ দেহে আয়রনের ঘাটতি। তাই যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তাদের নিয়মিত খাবার তালিকায় সম্ভব হলে কলিজা রাখা উচিত। তবে খাসি বা গরুর কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।
বাদাম ও বীজ
কুমড়ো বীজ, কাজু বাদাম, পেস্তা, শণ বীজ, পাইন বাদাম, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বর্তমানে অনলাইনে কাঁচা কুমড়ার বীজ, কাঁচা কাজু এবং কাঁচা পাইন বাদাম পাওয়া যায়। যদিও কাঁচা এবং ভাজা বাদামে একই পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খান।
সূত্র: ইত্তেফাক